আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয় শতাধিক হয়েছে। এ পর্যন্ত দেড় সহস্রাধিক আহতর খবর পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ভূমিকম্পে বহু গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
বার্তা সংস্থা এপি ও বিবিসির খবরে বলা হয়, রোববার রাতে ভূমিকম্পটি কুনার প্রদেশের একাধিক শহরে আঘাত হানে, যা প্রতিবেশী নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরের কাছে অবস্থিত। ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় রাত ১১:৪৭ মিনিটে ঘটে এবং এটি জালালাবাদ শহরের ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) পূর্ব-উত্তর-পূর্বে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিসি) জানিয়েছে, নানগারহার প্রদেশে ছিল ভূমিকম্পনের কেন্দ্র। এর গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল)। সাধারণত কম গভীরতার ভূমিকম্প বেশি ক্ষতি করে।
কুনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, নুরগাল, সকে, ওয়াতাপুর, মানোগি ও চাপা দারা জেলার অন্তত ২৫০ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছেন।
‘উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলছে এবং বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত ও আহতের সংখ্যা বাড়ছেই। কুনার, নানগারহার এবং রাজধানী কাবুলের মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে,’ বলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফত জামান।
শরাফত জামান বলেন, ‘শতাধিক আহত ব্যক্তিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনও ধংসস্তুপের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে আমাদের ধারণা। বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধারকাজ চলছে।’
ভূকম্পনের পর আরও কিছু মৃদু কম্পনের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘হতাহত ও আহতদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যেসব এলাকা ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে, সেখানে প্রবেশ ও যোগাযোগ অত্যন্ত সীমিত। আমাদের দল এখনো কাজ করছে।’
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে কম্পন অনুভূত হয় এবং প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও এর প্রভাব স্পষ্ট ছিল।
এটি আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরও আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, এতে চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন।