রিয়াল মাদ্রিদের নজরে চেলসির আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। তবে লন্ডনের ক্লাব স্পষ্ট করে দিয়েছে—এই তারকাকে দলে চাইলে গুনতে হবে তার থেকেও বেশি অর্থ, যেটা দিয়ে তারা এনজোকে বেনফিকা থেকে কিনেছিল। মুন্দোদিপর্তিভো-র তথ্য অনুযায়ী, চেলসি চাইছে €১২১ মিলিয়নেরও বেশি—চেলসির ইডেন হ্যাজার্ডের রেকর্ড £১০০ মিলিয়নের ট্রান্সফার ফি, যেটা ২০১৯ সালে রিয়ালই দিয়েছিল।
রিয়ালের দিক থেকে আগ্রহ থাকলেও, তারা এত বড় অঙ্ক দিতে রাজি কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবুও স্প্যানিশ গণমাধ্যম বলছে, এনজো নাকি নিজেই এখন চুক্তি বাস্তবায়নে আগ্রহী। এমনকি নিজের এজেন্টকে বলেছেন, আলোচনায় গতি আনতে। গুঞ্জন আরও আছে—তিনি নাকি মাদ্রিদে বাড়িও খুঁজছেন! আর্জেন্টাইন সতীর্থ জুলিয়ান আলভারেজ, যিনি আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলেন, নাকি তাঁকে কিছু পছন্দের পাড়ারও নাম বলেছেন।
চেলসির নতুন কোচ এনজো মারেস্কা অবশ্য এনজো ফার্নান্দেজকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় রাখছেন একদম কেন্দ্রে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই মিডফিল্ডার আগামী মৌসুমে দলে ‘কী প্লেয়ার’ হিসেবে থাকবেন।
“ও শুধু গোল করে না, খেলাও গড়ে দেয়। ওর মধ্যে এমন সামর্থ্য আছে, যেটা আরও বাড়বে,” বলেছেন মারেস্কা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এনজোকে দলে টেনেছিল চেলসি, খরচ করেছিল €১২১ মিলিয়ন। এরপর মাত্র এক মৌসুমেই ১০৬ ম্যাচ, ১৪ গোল, ১৯ অ্যাসিস্ট—এই সংখ্যাগুলো নিজেই নিজের হয়ে কথা বলে। চলতি প্রিমিয়ার লিগে তাঁর নামের পাশে ৬ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট, ৩৫ ম্যাচে।
যেহেতু এনজোর সঙ্গে চেলসির চুক্তি ২০৩২ পর্যন্ত, ক্লাবের হাতে রয়েছে পুরো নিয়ন্ত্রণ। তাই unless রিয়াল মাদ্রিদ একটি ‘রেকর্ড গড়া প্রস্তাব’ নিয়ে আসে, চেলসি তাকে ছাড়ার প্রশ্নই উঠছে না।
তবে ফুটবলে চূড়ান্ত কিছু বলে কিছু নেই। আগ্রহ, আলোচনার গতি, খেলোয়াড়ের মানসিকতা আর একটার পর একটা পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিই বলে দেবে—”এনজোর ঠিকানা কি পাল্টাবে, নাকি ব্লুজ জার্সিতেই নতুন অধ্যায় লিখবেন তিনি?”