হাসপাতালে মায়ের কাছে জোবাইদা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
স্কয়ার হাসপাতালে মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে দেখতে যান জোবাইদা রহমান। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেড় যুগ পর দেশে ফিরে সরাসরি ধানমন্ডির বাড়িতে যাননি। হাসপাতালে থাকা অসুস্থ মাকে দেখতে ছুটে গেছেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। পরে তিনি ধানমন্ডিতে যাবেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে দেখতে যান জোবাইদা রহমান।
সেখানে মাকে তিনি ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন দুজনই।

‘আমরা বিএনপি পরিবার’এর আহবায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন এ তথ্য জানান।

বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে দেশে ফেরেন তারেকপত্নী জোবাইদা। তার থাকার জন্য ধানমন্ডির পৈত্রিক বাড়িতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দর থেকে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান। এরপর তিনি সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান তার মা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী নেত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে দেখতে।

জানা গেছে, নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মরহুম মাহবুব আলী খানের স্ত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২ মে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর পান্থপথে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডা. জোবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করেন সুরভী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। এ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।

ডা. জোবাইদা রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের শাসনামলে আর দেশে আসতে পারেননি।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড বাতিল হলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান। হাসপাতালে ১৭ দিন থাকার পর তিনি ২৫ জানুয়ারি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন। সেখানে থেকেই তিনি প্রায় চার মাস চিকিৎসা নেন।

শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ হলে খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে নিয়ে দেশে ফেরেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *