৫ দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদের সন্ধান, ২৩ বস্তা নথি জব্দ

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের নথি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছবি: টাইমস
Highlights
  • সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও সিঙ্গাপুরে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৫৮২টি অবৈধ সম্পদের তথ্য সম্বলিত ২৩ বস্তা নথি উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ক্যাম্বোডিয়াতেও তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির প্রমাণ মিলেছে।

রোববার সকালে দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে ‘আরামিট গ্রুপের’ মালিকানাধীন এসব নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, এ দিন সকালে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (রেড নোটিশ) জারির আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

দুদক জানায়, শনিবার রাত সোয়া ৪টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, পুলিশ ও অন্যান্য সাক্ষীর উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়। উদ্ধারকৃত নথিতে বিদেশে বাড়ি কেনা, ভাড়া থেকে আয়, রক্ষণাবেক্ষণ খরচসহ মানিলন্ডারিংয়ের সুস্পষ্ট আলামত রয়েছে।

১৬ সেপ্টেম্বর কালুরঘাটের ‘আরামিট গ্রুপের’ শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নথিগুলো সরিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ইউসিবিএলের চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানের ড্রাইভার মো. ইলিয়াস তালুকদার। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকের অভিযানের আগে বস্তাগুলো পাশের ওসমান তালুকদারের বাড়িতে সরিয়ে রাখেন তিনি। সেখান থেকেই বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামান। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টাপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারি করা হচ্ছে

এদিকে, বৃহস্পতিবার সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবদুর রহমানের আদালতে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কবির হোসাইন জানান, দুর্নীতির একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।

দুদক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। গত ১৭ এপ্রিল ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার  মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তাদের যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি, যুক্তরাষ্ট্রে নয়টি এবং অন্যান্য দেশে থাকা স্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত।

৫ মার্চ তাদের নামে থাকা ৩৯টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। যেখানে জমা রয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার বেশি। পাশাপাশি ১০২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ৯৫৭ বিঘা জমি জব্দের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মামলার তদন্তভার পান দুদকের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান। ৭ অক্টোবর এ দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *