একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না, এমন মতামত দিয়েছেন ৮৯ শতাংশ মানুষ। সেইসঙ্গে ৮৭ শতাংশ মানুষ চান প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের প্রধানের পদের পৃথকীকরণ।
জুলাই সনদ চূড়ান্তকরণের বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) করা এক জনমত যাচাইয়ে এমন মতামত উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জনমত যাচাইয়ে পাওয়া তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন।
তিনি জানান, চলতি বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৫টি নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে ৪০টি প্রশ্নে দেশের ১ হাজার ৩৭৩ জনের মতামত নিয়েছে সুজন।
একরাম হোসেন বলেন, ‘এই মতামতগুলো বাংলাদেশের সব জেলার প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিনিধিত্বমূলক সংলাপে নারী, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ এবং বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।’
তিনি বলেন, জরিপে উঠে এসেছে যে, জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ) ও সিনেট (উচ্চকক্ষ)-এর সমন্বয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা গঠন করার বিষয়ে ৭১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সমর্থন দিয়েছেন। এছাড়া আইনসভা সংস্কারের প্রস্তাবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিয়েছেন ৬৯ শতাংশ মানুষ; ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে হওয়ায় ৮২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সমর্থন করেছেন; বাধ্যতামূলক অডিটসহ দলীয় আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে চায় ৯১ শতাংশ মানুষ।
দলের লেজুড়বৃত্তিক ও বিদেশি শাখা না থাকার পক্ষেও মত ৮০ শতাংশের; চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দলের সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে মনে করেন ৯২ শতাংশ মানুষ।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জরিপের তথ্য প্রমাণ করে, জনগণ সংস্কারের পক্ষে, তারা সংস্কার চায়।’
সুজনের নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘সংসদীয় ও বিচার বিভাগীয় নজরদারি (হরাইজন্টাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি) এবং নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের নজরদারি (ভার্টিকাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি) উভয়কেই শক্তিশালী করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জরিপে সাংবিধানিক ও শাসন সংস্কারের অন্যান্য প্রস্তাবের জনমতও তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সদস্য জিল্লুর রহমান।