জুলাই ঘোষণাপত্রটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পাঠ করা এবং স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘোষণাপত্র সম্পর্কে এই প্রতিক্রিয়াই তিনি দিয়েছেন। তবে সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন যে, এটি তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া নয়। আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেবে এনসিপি।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তার পাশে ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবে নাহিদও ছিলেন মঞ্চে।
ঘোষণা পত্র নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল যে এই ঘোষণাপত্রটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পাঠ হবে ও স্বীকৃতি পাবে। সেই জায়গা থেকে আমরা ইতিবাচক।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো—ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে একটি নতুন গণতান্ত্রিক, মানবিক মর্যাদা ও সমতা-সম্পন্ন রাষ্ট্র গঠন। তরুণ প্রজন্ম একা নয়, বরং সকলে মিলে এই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করাই শহীদদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি।’
সরকার বিভিন্ন দলের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ঘোষণাপত্রটি তৈরি করেছে জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা মনে করি, এতে সামগ্রিক বিষয়গুলো এসেছে। আমরা আশা করি, যেসব প্রতিশ্রুতি এই ঘোষণাপত্রে দেওয়া হয়েছে, তা ভবিষ্যতে সংবিধানে যুক্ত হবে।’
সরকারের রচনা করা ঘোষণাপত্রটি আগে পর্যালোচনার সুযোগ পাননি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আরও নিবিড়ভাবে এটি দেখে, অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাব।’
পাশাপাশি ঘোষণাপত্রের পূর্ণাঙ্গ সাংবিধানিক বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।