লাইভ স্থগিত
০৫:৪৫
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের হত্যা-নির্যাতন-লুন্ঠনের ‘দ্রুত উপযুক্ত বিচার’ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই ঘোষণাপত্রে এ কথা জানান তিনি।
আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ বিগত ষোল বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম কালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।’
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ লাগোয়া জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বহুল আলোচিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মাদ ইউনূস। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসেই মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় শুরু হয় এ আয়োজন।
০৫:৩৪
সংবিধানের তফসিলে যুক্ত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, ফ্যাসিবাদের পতন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পটভূমি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।’
আরো বলেন, ‘৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রনয়ণ করা হলো।’
মুহাম্মদ উইনূস বক্তব্যের শুরুতে আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ বিগত ষোল বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম কালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।’
‘বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসঙ্গত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।’
‘বাংলাদেশের জনগণ এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে একটি পরিবেশ ও জলবায়ু সহিষ্ণু অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অধিকার সংরক্ষিত হবে,’ জানান তিনি।
০৫:২৮
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করছেন প্রধান উপদেষ্টা
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ লাগোয়া জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বহুল আলোচিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ উপস্থাপন করছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মাদ ইউনূস। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসেই মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় শুরু হয় এ আয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা উপস্থিত রয়েছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
জাতীয় সংগীত পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় সকলে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ এর শহীদদের পাশাপাশি জুলাইয়ের শহীদদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর পরিবেশন করা হয় একটি প্রামাণ্যচিত্র।
হাজার হাজার জনতা বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন।
এদিকে, জুলাই অভ্যুত্থান দিবসে রাত সাড়ে ৮টায় জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
০৪:৫৫
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সকাল ১১টায় ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ শীর্ষক আয়োজনের মাধ্যমে, যেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে সকাল থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সমবেত হচ্ছেন হাজার হাজার জনতা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকেই তারা জড়ো হচ্ছেন ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের অনুষ্ঠানে। স্লোগানে স্লোগানে জনস্রোত ক্রমেই বাড়ছে।
অনেকে গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন, আবার অনেকেই ছাতা মেলে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। জনতার অনেকে নিয়ে এসেছেন জাতীয় পতাকা, আবার কেউ কেউ জুলাই সনদের ব্যাজ পড়েছেন।
এ দিনটি ‘৩৬ জুলাই’ নামে রাজধানীতে উদযাপিত হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, শিল্পকলা একাডেমি এই দিনটি উদযাপনে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সূচি অনুযায়ী, সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে। এরপর কলরব শিল্পীগোষ্ঠী তাদের পরিবেশনা করে। দুপুরের পর, চিটাগাং হিপহপ হুড, সেজান, শূন্য ব্যান্ড পারফর্ম করে।
০২:৩০
সংসদের সামনে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ অনুষ্ঠানস্থলে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরের পর এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন।
দগ্ধদের মধ্যে রয়েছে হলেন-হাবিবুল্লাহ হাবিব (২৩), মনসুর ইসলাম (৩৭), মিশু (২৩), আবদুল্লাহ আল মিহাদ (১৭), মাহমুদুল হাসান রাহাত (২০), পলাশ (২১), ইয়াসিন আরাফাত (২৫), বেল্লাল হোসেন (৪৫), শরিফুল ইসলাম (৩২) ও আসিফ হোসেন আকাশ (২১)।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আহতদের কারও অবস্থাই গুরুতর নয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।