ফায়ার এলার্ম-ওয়াকআউট: ঐকমত্য কমিশনে ঘটনাবহুল দিন

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক চলছে। ছবি: বায়েজীদ আকতার/টাইমস

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিনটি নানা নাটকীয়তার মধ্যে কাটছে। সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মূল ভবনের শাপলা হলে এ বৈঠক চলাকালে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে।

দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে হঠাৎ ফায়ার এলার্ম বেজে উঠলে বৈঠক স্থগিত করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। আতঙ্কে সবাই ভবন থেকে নিচে নেমে আসেন। প্রায় ২০ মিনিট পর এলার্ম থামলেও বৈঠক পুনরায় শুরু হতে কিছুটা সময় লাগে। পরে পৌনে ১টার দিকে দোয়েল হলে আলোচনা ফের শুরু হয়।

তবে ফায়ার এলার্ম কীভাবে সক্রিয় হলো, সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের কোথাও ধূমপান বা আগুনের উৎস ব্যবহার করা হয়েছিল।

বৈঠকের শুরুতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং ন্যায়পাল নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বৈঠক ত্যাগ করেন। যদিও দলটি আগেই জানিয়ে রেখেছিল, এ বিষয়ে আলোচনায় তারা অংশ নেবে না। তবে কিছু সময় পর বিএনপির প্রতিনিধি দল আবার আলোচনায় ফিরে আসে।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল- কেউ যেন ১০ বছরের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন। সেটি গৃহীত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাবও গ্রহণযোগ্য হয়েছে, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন ‘

তিনি আরও জানান, বিএনপি প্রস্তাব করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে সংসদ ভবিষ্যতে কোনো সংশোধনী আনলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়াকে তিনি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।

তবে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যদি কর্তৃত্ব না থাকে- শুধু দায়িত্ব আর জবাবদিহিতা থাকে- তাহলে তা কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।’

বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, এখন পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। বাকিগুলো নিয়েও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক দলিল তৈরি করতে চাই, যাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা স্পষ্ট হয় এবং অতীতের রাজনৈতিক অচলাবস্থায় আর ফিরে যেতে না হয়।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *