শ্রীলংকা সফরে টেস্ট সিরিজ ড্র করলেও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদশের হয়েছে ভরাডুবি। ১-১ সমতায় ফিরলেও মঙ্গলবার তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ হেরে খুইয়েছে সিরিজ। প্রশ্নবিদ্ধ ছিল দলের ব্যাটিং এপ্রোচও। তিন ওয়ানডের একটিতেও খেলতে পারেনি পুরো ৫০ ওভার। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের নেপথ্যে মেহেদী হাসান মিরাজদের মানসিক সমস্যা দেখছেন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
ব্যাটিং ব্যর্থতার এই সিরিজে তিন ম্যাচেই অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৪৯.২ ওভার, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৫.৫ ওভার ও শেষ ম্যাচে খেলতে পেরেছে ৩৯.৪ ওভার পর্যন্ত। আর সিরিজে দলের পক্ষে পারভেজ হোসেন ইমনের ৬৭ রানই সর্বোচ্চ ইনিংস। বুধবার বৃষ্টিস্নাত দিনে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি পরিচালক আকরাম বেশ আফসোসই করলেন। ক্রিকেটাররা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছেন না বলে তার মত।
বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে, স্বাভাবিক যে ক্রিকেটটা, যেটা আমরা ঢাকা লিগে খেলি বা এখানে খেলি, সেটা খেলছে না। হয়তো ওভার কনসাস। আমার কাছে মনে হচ্ছে না তারা মানসিকভাবে ফিট। হয়তো অনেক চাপ নিয়ে নিচ্ছে।’
বাইরে থেকে মিরাজদের খেলা দেখে আকরামের কাছে মনে হয়েছে তারা অতিরিক্ত চাপে আছেন। চাপ অনুভব করলে স্বাভাবিক খেলাটা ব্যাহত হয় জানিয়ে আকরাম আরো বলেন, ‘দূর থেকে খেলা দেখে আমার মনে হয়েছে, খেলোয়াড়রা অতিরিক্ত চাপে থাকে। কিসের জন্য চাপে থাকে, আমি জানি না। কিন্তু আপনি বেশি চাপে থাকলে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। ওদের ব্যাটিং স্টাইল দেখে, কিছু ভুল দেখে, অ্যাটিটিউড দেখে মনে হচ্ছে না তারা স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলছে।’
এসবের সাথে খেলা চলাকালীন মাঠে ক্রিকেটারদের কিছু আচার আচরণের প্রভাবও দলের ওপর পড়ে বলে জানান আকরাম। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তানজিম সাকিবের সাথে ভুল বোঝাবুঝিয়ে রান আউট হওয়ার পর ক্ষোভে ব্যাট ছুঁড়ে মারেন তাওহিদ হৃদয়। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে দুই রান নিতে গিয়ে তানজিদ তামিম সাড়া না দেয়াতে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্ষিপ্ত হওয়াটাও চোখে লেগেছে বেশ।
সেই প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ‘কিছু অ্যাটিটিউডও আছে, যেগুলো দলে প্রভাব ফেলে। কেউ রান আউট হয়ে এমন অ্যাটিটিউড করছে…এখানে কিন্তু কেউ সেরা খেলোয়াড় না, যারা খেলে সবাই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। এসব করলে টিম কিন্তু দিন দিন নেগেটিভ দিকেই যাবে। প্রপার ক্রিকেট খেলতে হলে আপনাকে সবকিছুতেই উন্নতি করতে হবে।’