‘এখন সবাই সেলফিতেই খুশি, অটোগ্রাফ কেউ চায় না’

টাইমস স্পোর্টস
11 Min Read
২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্মারক জমানোর নেশায় ছুটে চলেছেন জুনাইদ পাইকার।

বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের টুকরো টুকরো অনেক স্মৃতিই হয়তো আপনার মনে আছে। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সেঞ্চুরি, অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়ের ৬ উইকেট, হাবিবুল বাশারের ৭৫ রানের ইনিংস কিংবা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ধসের পর ম্যাচ হারের ঘটনাও। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করি, সেই ম্যাচের বস্তুগত কোনো স্মৃতি কি আপনার সংরক্ষণে আছে? হতে পারে সেটা ম্যাচ টিকেট, ক্রিকেটারদের টাই কিংবা ম্যাচ বল। বেশিরভাগের উত্তরই হবে ‘না’। কারণ বিরল সেসব জিনিস হাতে গোনা কজন মানুষ ছাড়া কারো কাছে নেই। 

সেই অল্প কজনের মধ্যে একজন জুনাইদ পাইকার। যার কাছে এখনো সযত্নে সংরক্ষিত আছে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের টিকেট, ক্রিকেটারদের একজনের টাই। পেশায় একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুনাইদ, ২০০০ সাল থেকে শখের বশে শুরু করেছেন বাংলাদেশ ও বিশ্ব ক্রিকেটের বিভিন্ন স্মারক সংরক্ষণ। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় যেখানে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অটোগ্রাফ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্রিকেটারের সই করা ক্যাপ, জার্সি, ব্যাট, বল-সহ সাকিব আল হাসানের খেলা সর্বশেষ টেস্টের টিকেটও রাখা আছে যত্নের সাথে। 

জুনাইদ পাইকার, ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্মৃতি জমাচ্ছেন যিনি।

ক্রিকেটের বিভিন্ন বিরল রেকর্ড, পরিসংখ্যান, হাইলাইটসের হদিস থাকলেও দশ বছর আগের একটা ম্যাচ টিকেট কিন্তু চাইলেই যে কেউ খুঁজে আনতে পারেন না। সেই কাজটাই দুই যুগের বেশি সময় ধরে একাগ্রতার সাথে করে যাচ্ছেন ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ‘আইসিসি নক আউট ট্রফি’র বলবয় জুনাইদ। 

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ক্রিকেটের এই স্মারক সংগ্রাহক ‘টাইমস অফ বাংলাদেশ’-এর সাথে এক দীর্ঘ সাক্ষাতকারে জানালেন ক্রিকেটের স্মারক সংগ্রহে নিজের যাত্রা, স্বপ্ন আর যুগ বদলের কথা। টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তী পূর্তিতে ‘টাইমস অফ বাংলাদেশ’-এর পাঠকদের জন্য রইল সাক্ষাতকারের চুম্বকাংশ-

টাইমস অফ বাংলাদেশ:  স্মারক সংগ্রহ করেন কীভাবে?

শুরুর দিকে আমি যেসব ম্যাচে নিজে যেতাম, সেসব নিজেই সংগ্রহ করতে পারতাম। তখন অনেকের সাথে পরিচয় হলো, যারা খেলা দেখতে যেত বা সাংবাদিক তাদের মাধ্যমেও পেতাম। আমার ২৫-২৬ বছরের জার্নি। তবে শুরুর দশ বছরের কথা বললে দেখা যাবে শুধু ম্যাচ দেখতে গিয়েই যা সংগ্রহ করেছি। এরপর দুইবার যখন আমি এক্সিবিশন করলাম, অনেকেই দেখতে এলো, তাদের সাথে পরিচয় হলো। সবাই দেখল আমার আগ্রহ অনেক এসবে; বিশেষত সাংবাদিকরা। তখন তারা আমার জন্য ম্যাচ টিকেটসহ যাবতীয় অনেক কিছুই আনতেন। এভাবে অনেক রেয়ার ম্যাচ টিকেটও আমি সংগ্রহ করেছি। আসলে সাংবাদিকরাই আমাকে বেশি হেল্প করেছেন এই জার্নিটায়। 

টাইমস অফ বাংলাদেশ: সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ সংগ্রহ করা স্মারকের কথা যদি বলেন…

সর্বপ্রথম সংগ্রহ বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের টিকেট। আর সর্বশেষ সাকিব আল হাসানের শেষ টেস্ট, কানপুরে। আর ইদানিং একটা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। টিকেটও উঠে যাচ্ছে। এবারের গল টেস্টের টিকেট ফ্রি ছিল। আর অনেক জায়গায় ই-টিকেটও হচ্ছে। প্রিন্টেড টিকেটের চলটা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে। যে কারণে এবার বিশ্বকাপ যেটা হলো টিকেটই পাইনি, ই-টিকেটিংয়ের জন্য। 

বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের টিকেট। ছবি: জুনাইদ পাইকার

টাইমস অফ বাংলাদেশ: আপনার সংগ্রহে থাকা বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে দামি স্মারক কোনটি? 

প্রথম টেস্টের টিকেটটাই আমার কাছে সবচেয়ে দামি। ওটা এখনো আমার কাছে নতুনের মতো এখনো আছে, যত্ম সহকারে। যেখানে আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ক্যাপ্টেন দুর্জয়, দারুণ একটা ইনিংস খেলা হাবিবুল বাশারের অটোগ্রাফ আছে। ওই ম্যাচের টিকেটটা সবসময় আমার পছন্দের জায়গায় থাকবে। 

টাইমস অফ বাংলাদেশ: টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বিরল কোন জিনিসটা আপনার সংগ্রহে আছে?

জুনাইদ পাইকার: যদি টেস্টের দুর্লভ জিনিসের কথা বলি, আমার কাছের বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের টাইটা আছে। টেস্ট তো হয়েছিল ২০০০ সালে। আমি এটা কালেক্ট করি ২০০২ সালে। তার মানে ২৩ বছর ধরে আমার কাছে আছে। এটা আমার কাছে অনেক দামি। কারণ ওই টেস্টের একটা টাই ছাড়া কিছু ছিল না আমার কাছে। এছাড়া শততম টেস্টের ব্লেজারটাও আমার সংগ্রহে আছে। 

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অভিষেক টেস্টের টাই।

 

টাইমস অফ বাংলাদেশ: টাইটা সংগ্রহ করলেন কীভাবে?

জুনাইদ পাইকার: টাইটা আমি কালেক্ট করি ইংল্যান্ডের একজন কালেক্টরের থেকে। উনার সাথে আমার যোগাযোগ হয়, এরপর একটা এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে টাইটা আমার কাছে আসে। 

টাইমস অফ বাংলাদেশ: স্মারক সংগ্রহ করতে গিয়ে মজার অভিজ্ঞতা কী কী আছে? 

জুনাইদ পাইকার: ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে নিল ম্যাকেঞ্জি আর গ্রায়েম স্মিথ ওপেনিং পার্টনারশিপে বিশ্বরেকর্ড করেছিল (৫৮৪ রান)। তখন আমিও পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেবার আমার এক বন্ধুকে বলেছিলাম, সেই ম্যাচের একটা টিকেট কালেক্ট করে দিতে। এরপর সেই বন্ধু আমাকে সেটা দিয়ে গেল। টেস্ট বোধহয় শেষ হয়ে গিয়েছিল সেদিন, আমরা রাতে ডিনার করতে যাই একটা রেস্টুরেন্টে। তখন গিয়ে শুনি সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা দলও সেখানে ডিনার করতে আসবে। ভাবলাম সেটাই অটোগ্রাফ নেয়ার একটা সুবর্ণ সুযোগ, টিকেটও সাথে ছিল। 

নিল ম্যাকেঞ্জি-গ্রায়েম স্মিথের অটোগ্রাফ সম্বলিত চট্টগ্রাম টেস্টের টিকেট। ছবি: জুনাইদ পাইকার

আলাদা একটা রুমে ডিনার করে একে একে সব ক্রিকেটার বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে ম্যাকেঞ্জি রয়ে গেছে। তখন তার সাথে স্মিথের জুটিটার প্রশংসা করে বললাম, ‘তোমার একটা অটোগ্রাফ লাগবে।’ অটোগ্রাফ তো দিল, এরপর বললাম টিকেটে স্মিথের অটোগ্রাফ না পেলে তো জিনিসটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। একটু হেল্প করো, স্মিথের অটোগ্রাফটা নিতে। তখন আমাকে টিম বাসের সামনে নিয়ে গেল। ম্যাকেঞ্জি নিজে বাসে উঠে স্মিথকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে টিকেটটা ফেরত দিয়ে গেল। এমন কিছু হবে, আমি কল্পনাও করতে পারিনি। 

টাইমস অফ বাংলাদেশ: এখন পর্যন্ত কিছু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাজে কোনো অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে?

জুনাইদ পাইকার: কোনো সিরিজ শুরু হওয়ার কমপক্ষে ২০-৩০ দিন আগে থেকে আমার সব পরিকল্পনা তৈরি থাকে কোন জিনিসে অটোগ্রাফ নেব। কোথায় নেব, কীভাবে নেব। আমি বেশিরভাগ অটোগ্রাফ নিয়েছি তখন হোটেল শেরাটনের লবিতে। লবিতে এমন জায়গায় বসতাম যেন ক্রিকেটারদের দেখা যায়। কখন তারা প্র্যাক্টিস শেষ করে আসবে, কখন লিফটে উঠবে, সবই আসলে পরিকল্পনা থাকত, যেন কখনো মিস না হয়। এমন কখনোই হয়নি, যে আমি অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। 

যে ছবিতে অটোগ্রাফ দিতে পেরে খুশিই হয়েছিলেন রিকি পন্টিং। ছবি: জুনাইদ পাইকার

তবে একটা স্মৃতি মনে পড়ছে। অস্ট্রেলিয়া দল ২০০৫ সালে বাংলাদেশে এসেছিল, তখনকার। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা একটু মুডি হয়, তবুও গেলাম টিম হোটেলে অটোগ্রাফ নিতে। মাইকেল ক্লার্ক সামনে দিয়ে চলে গেল, তখন অটোগ্রাফের জন্য বলব কিনা বুঝতে পারছিলাম না। এরপর দেখলাম রিকি পন্টিং নাস্তা করতে এলেন, তার একটা ছবি নিয়ে অটোগ্রাফের জন্য গেলাম। ছবিটা দেখে মনে হয় পছন্দ হলো, সুন্দর করে অটোগ্রাফও দিল। 

টাইমস অফ বাংলাদেশ: বাংলাদেশে আপনি ছাড়া কে কে আছেন যারা ক্রিকেটের স্মারক সংগ্রহ করেন?

জুনাইদ পাইকার: বাংলাদেশের এমন কয়েকজন আছেন যাদের আমি চিনি, তাদের কালেকশন বেশ ভালো। ক্রিকেট বোর্ডে যুক্ত ছিলেন সিনিয়র কয়েকজন, বেশ কিছু ক্রিকেটারও আছেন। যাদের কাছে বিভিন্ন রেয়ার জার্সি, ব্লেজার এসব আছে। তাদের সাথে যোগাযোগের সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কালেক্টরই আছেন, তবে ক্রিকেটে যেহেতু সুযোগ কম তাই এখানে কালেক্টরের সংখ্যাটাও কম। 

বাংলাদেশের শততম টেস্টের ব্লেজার। ছবি: জুনাইদ পাইকার

টাইমস অফ বাংলাদেশ: আপনি যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটের অনেক কিছু সংগ্রহ করেন, দুইবার এক্সিবিশনও করেছেন। সেই আলোকেই জানতে চাওয়া বাংলাদেশে বড় পরিসরে ক্রিকেট সংগ্রহশালা বা জাদুঘরের মতো কিছু নেই কেন? 

জুনাইদ পাইকার: আমি দুইবার এক্সিবিশন করেছি। দুইবারই ক্রিকেট বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা এসেছেন, তাদের সাথে কথা হয়েছে এসব নিয়ে। তারাও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন জাদুঘরের ব্যাপারে, কিন্তু এখনো তেমন কিছু কিন্তু চোখে পড়েনি। অনেক স্মারক কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে পাওয়াটাও দুস্কর হয়ে যাবে ভবিষ্যতে। যেমন মুশফিকের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটটা নিলামে একজন নিয়ে গেল, সেটা ভারতে একটা জাদুঘরে আছে। সাকিবের ২০১৯ বিশ্বকাপের ব্যাটটা মিসিং হয়ে যাচ্ছে। এসব হয়তো সামনে আর পাব না। 

জুনাইদ পাইকারের সংগ্রহে থাকা বাংলাদেশের লর্ডসে খেলা প্রথম্ টেস্টের টিকেট। ছবি: জুনাইদ পাইকার

অতীত, ইতিহাস কিন্তু অনেক বড় একটা জিনিস। আমাদের দেশে ইতিহাস আগলে রাখার কালচারটা সেভাবে কেন জানি দেখি না, সবক্ষেত্রেই। আর একটা জাদুঘর মানে কেবল সংরক্ষণই না, সম্মান দেয়ার একটা ব্যাপারও আছে। ক্রিকেট বোর্ড চাইলেই এটা করতে পারে। আমারও বড় একটা স্বপ্ন আছে। যদি আল্লাহ তৌফিক দেয়, একটা কিছু করার ইচ্ছা আছে। 

টাইমস অফ বাংলাদেশ: এখন পর্যন্ত কারো ম্যাচ ব্যাট কালেক্ট করতে পেরেছেন? 

জুনাইদ পাইকার: এখনো কোনো ম্যাচ ব্যাট পাইনি। সর্বশেষ সাকিব আল হাসানের সাথে আমি কথা বলেছিলাম ব্যাট চেয়ে টেক্সটে, সাকিব বলেছিলেন দেখি ইনশা আল্লাহ হবে। কিন্তু এরপর তো পরিস্থিতি বদলে গেল পুরো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো সেটা পেতামও। তবে ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ করা অনেক রেপ্লিকা ব্যাট আছে। 

কানপুরে সাকিব আল হাসানের খেলা সর্বশেষ টেস্টের টিকেট। ছবি: জুনাইদ পাইকার

টাইমস অফ বাংলাদেশ: এখন এই প্রজন্মের যদি কেউ ক্রিকেটের স্মারক কিংবা অটোগ্রাফ সংগ্রহ করতে চায় আপনার পথ ধরে, তার প্রতি কী বার্তা থাকবে? 

জুনাইদ পাইকার: যদি কোনো কিছুর প্রতি কারো আগ্রহ থাকে, তাহলে কাজটা কঠিন কিছু না। আপনি এখনও দেখবেন, কেউ কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে প্র্যাকটিস দেখছে, অটোগ্রাফ নিচ্ছে। এমন না যে ব্যাপারটা অসম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশে কালচারটা বদলে গেছে। এখন আমরা সবাই সেলফিতেই খুশি, অটোগ্রাফ কেউ চায় না। একটা অটোগ্রাফের ভ্যালু কিন্তু অন্যরকম। আপনার প্রিয় প্লেয়ার, তার অটোগ্রাফ করা একটা জিনিস আপনার কাছে আছে; এটা আর সেলফি কিন্তু এক জিনিস না। এটা খুব সুন্দর একটা শখ। যারা একবার মজা পেয়ে যায়, তারা সবাই এটা ধরে রাখতে চায়। 

সাকিবের সই করা টেস্ট জার্সি। ছবি: জুনাইদ পাইকার

আর এখন কালেকশনের প্যাটার্ন কিন্তু বদলে গিয়েছে। ডাকটিকেট বা কয়নের কথাই বলি, এখন এমন যুগ চলে এসেছে আপনি চাইলে ১০০টা দেশের কয়েক কালেক্ট করে ফেলতে পারবেন। অনলাইনে এমন অনেক শপ কিন্তু আছে। তবে ওই যে মজাটা ছিল,  একটা কয়েনের পেছনে দৌড়ে দৌড়ে সংগ্রহ করার যে আনন্দ, সেটা কিন্তু নাই। একদিকে মজাটা কমেছে, কিন্তু কালেকশন বাড়ছে। আর কালেকশনের আসল মজাটাই হচ্ছে অপেক্ষা। আপনি যদি অপেক্ষাই না করেন, তাহলে সেটার প্রতি ভালোবাসাটা জন্মাবে না। 

বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের খেলা প্রথম দিবারাত্রির টেস্টের স্মারক।
Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *