ইরান কখনো আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি

2 Min Read
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া
Highlights
  • বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি ইসরায়েলি অভিযানে অংশ নেয়, তাহলে এই যুদ্ধের ভারসাম্য সম্পূর্ণ পাল্টে যেতে পারে। সিবিএসের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারাও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সক্রিয়ভাবে জড়ান, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অপূরণীয় ক্ষতির’ মুখোমুখি হতে হবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি আরো বলেন, ‘ইরান কখনো আত্মসমর্পণ করবে না!’

খামেনি বলেন, ‘যারা ইরান, এর ইতিহাস এবং এর জনগণকে জানেন, তারা কখনো হুমকির ভাষায় এই জাতির সঙ্গে কথা বলেন না। ইরানিরা সেই জাতি নয়, যারা মাথা নত করে।’

খামেনির এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে ইরা

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

নের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ দাবি করেছেন। ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এখন ইরানের আকাশসীমার সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণে রয়েছি। মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে।’

এর আগে, ট্রাম্প ইরানি নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব রাজধানী তেহরান ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি হোয়াইট হাউজে তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প বর্তমানে ইসরায়েলের পরমাণু হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বিবেচনা করছেন।

একটি সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে ফোর্ডোতে অবস্থিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যা ভূগর্ভে নির্মিত। এটি ধ্বংসে প্রয়োজনীয় ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বিশেষ বোমা—যা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে।

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েল মঙ্গলবার রাতে ইরানের দুটি সেন্ট্রিফিউজ তৈরির স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি ইসরায়েলি অভিযানে অংশ নেয়, তাহলে এই যুদ্ধের ভারসাম্য সম্পূর্ণ পাল্টে যেতে পারে। সিবিএসের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারাও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে আরও সৈন্য ও অস্ত্রসজ্জা মোতায়েন করছে। ইরান হুঁশিয়ার করে দিয়েছে, তারা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে ট্রাম্প কূটনৈতিক পথ বেছে নেবেন, নাকি সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সংঘাত আরও বিস্তৃত হবে—তা এখনো স্পষ্ট নয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *