বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজ থেকে বদলে যাচ্ছে বাউন্ডারি ক্যাচের নিয়ম

টাইমস স্পোর্টস
2 Min Read
পরিবর্তন আসছে বাউন্ডারি ক্যাচের নিয়মে। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৭ জুন দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের এই ম্যাচ দিয়েই বদলে যাচ্ছে ক্রিকেটের বেশকিছু নিয়ম। এর মধ্যে একটি বাউন্ডারি লাইনের ক্যাচ। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরার নিয়মে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।

বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরতে গিয়ে বিভিন্ন উপায় বেছে নেন ফিল্ডাররা। অনেক ফিল্ডারই প্রায় ছক্কা হয়ে যাওয়া বলকে অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় লাইনের বাইরে গিয়ে ঠেকিয়ে দেন, এমনকি লাইনের বাইরে থেকে লাফিয়ে উঠে মাঠের ভেতর বল পাঠিয়ে নিজে ফেরত এসে আবার সেই ক্যাচ ধরেও ফেলেন। এসব জাগলিং ক্যাচের সাথে গেল এক দশকে ‘রিলে’ ক্যাচও উপহার দিয়েছেন অনেক ফিল্ডার। ক্রিকেট আইনের ১৯.৫.২ ধারা অনুযায়ী এতদিন সেটা বৈধ থাকলেও এমসিসি সেটাকে আর বৈধ মানছে না। কাজেই বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডারদের চোখ ধাঁধানো ক্যাচে ধরার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন দর্শকরা।

এই নিয়মে বদল আনার জন্য চলতি বছরের শুরুতেই আইসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে এমসিসি। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এমসিসি প্রণীত নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে কেবল একবারই বল স্পর্শ করতে পারবেন ফিল্ডার। আগামী ১৭ জুন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চালু হচ্ছে এই নিয়ম, সেদিন থেকেই প্লেইং কন্ডিশনে তা যুক্ত করা হবে। তবে এমসিসির বিধিমালায় সেটা অন্তর্ভুক্ত হবে চলতি বছরের অক্টোবরে। আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কার্যকর হলেও ধীরেধীরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দেখা যাবে এর প্রয়োগ।

এছাড়া বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ দিয়ে বদলে যাচ্ছে ক্রিকেটের কনকাশন সাবের নিয়মও। সাধারণত কোনো ক্রিকেটার মাথায় আঘাত পেলে সেই ক্রিকেটারের জায়গায় তার প্লেইং রোলের কাউকেই খেলাতে হবে। যাকে বলা হয় লাইক ফর লাইক। অর্থাৎ কোনো ব্যাটার মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়লে তার বদলি হিসেবে ব্যাটারকেই খেলাতে হবে। বোলারদের ক্ষেত্রেও তাই।

কিন্তু নতুন নিয়মানুযায়ী প্রতিটি দলকেই ম্যাচ শুরুর আগে সম্ভাব্য পাঁচজন বিকল্প ক্রিকেটারের নাম ম্যাচ রেফারির কাছে জমা দিতে হবে। যারা প্রয়োজন পড়লে কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামতে পারবেন। এ তালিকায় রাখতে হবে একজন করে ব্যাটার, পেসার, স্পিনার, উইকেটকিপার ও অলরাউন্ডার। এই তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের যে কেউ পরিস্থিতি অনুযায়ী ম্যাচ রেফারির অনুমতি সাপেক্ষে মাঠে নামতে পারবেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *