ঈদের ছুটিতে আমের বাজারে ধস, বিপাকে চাষিরা

টাইমস ন্যাশনাল
2 Min Read
ছবি: ‘ম্যাংগো বাজার’ ফেসবুক পেজ
Highlights
  • ঈদের আগে ১৬০০-২২০০ টাকা মণ দরে গোপালভোগ বিক্রি করলেও পরদিন দাম অর্ধেকে নেমে আসে।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুনের শুরুতে জমে উঠেছিল আমের বাজার। তবে কোরবানির ঈদ এবং দীর্ঘ ছুটির প্রভাবে হঠাৎ করেই আমের দামে বড় ধস দেখা দিয়েছে। গড়পড়তা প্রতি মণ আমে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।

‘আমের রাজধানী’ খ্যাত এ জেলায় হঠাৎ আমের দরপতনে চাষিরা পড়েছেন বিপাকে। তারা বলছেন, অন্যতম লাভবান এ পণ্য নিয়ে প্রশাসনের কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এমন লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। তাদের আশঙ্কা, বিপুল সংখ্যক আম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে আম সরবরাহ ও অনলাইন বিক্রির অন্যতম মাধ্যম কুরিয়ার সার্ভিস। কিন্তু ঈদের ছুটিতে ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত কুরিয়ার সেবা বন্ধ থাকায় অনলাইন অর্ডার ও ডেলিভারি একপ্রকার স্থগিত হয়ে গেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনলাইনভিত্তিক আম বিক্রেতারাও।

হঠাৎ আমের দরপতনে চাষিরা পড়েছেন বিপাকে। ছবি: ‘ম্যাংগো বাজার’ ফেসবুক পেজ

কানসাট বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, শুরুতে গোপালভোগ ও ক্ষীরশাপাতি আমের মণপ্রতি দাম ছিল ২০০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু ৪ জুন থেকে দাম পড়ে গিয়ে ক্ষীরশাপাতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-২৪০০ টাকায় এবং ল্যাংড়া আম ১২০০-১৮০০ টাকায়।

জানা গেছে, ঈদের আগে ১৬০০-২২০০ টাকা মণ দরে গোপালভোগ বিক্রি করলেও পরদিন দাম অর্ধেকে নেমে আসে।

বিক্রেতাদের আশঙ্কা, বাজারে ক্রেতা কম। এমন চলতে থাকলে গাছে আম নষ্ট হয়ে যাবে।

‘ম্যাংগো বাজার’সহ অনলাইন পেজগুলো জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে অন্তত এক সপ্তাহ কুরিয়ার বন্ধ থাকায় তারা এখন আর নতুন অর্ডার নিতে পারছে না।

চাষিরা ও উদ্যোক্তারা ঈদের ছুটিতে কৃষিপণ্য পরিবহনে কুরিয়ার সার্ভিস চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের পরে বাজার আবার স্বাভাবিক হতে পারে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *