৩ আগস্ট ‘ঢাকা চল’ কর্মসূচিতে নির্বাচনী শোডাউন এনসিপি’র

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
পাবনা শহীদ চত্বরে ‘জুলাই পদযাত্রার’ পথসভায় বক্তব্য দেন এনসিপি'র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: ইউএনবি
Highlights
  • ১ জুলাই  রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হয়। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় জনসভা ও পথসভা করে দলটিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।

জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগামী ৩ আগস্ট ‘চল চল ঢাকা চল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ওইদিন তারা বড় ধরনের নির্বাচনী শোডাউন করবে বলে জানা গেছে।

সোমবার রাতে পাবনা শহীদ চত্বরে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’র পথসভায় এই কর্মসূচির কথা জানান এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

এর আগে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গত ২৯ জুন ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশজুড়ে ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। ঘোষণা অনুযায়ী, মাসব্যাপী এই কর্মসূচি ১ জুলাই  রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হয়। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় জনসভা ও পথসভা করে দলটিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ পাবনার পথসভায় অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি দল আমাদের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলছে, এই অভ্যুত্থানের আইনগত ভিত্তি নেই। তারা নতুন করে মুজিববাদের ঠিকাদারি নিয়েছে।’

‘ভারতের ষড়যন্ত্র ও মিডিয়ার ষড়যন্ত্র’ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

হাসনাত ঘোষণা করেন, ৩ আগস্ট রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে ‘চল চল ঢাকা চল’ কর্মসূচি হবে।

পথসভায় এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলছিলাম, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি থাকতে পারে না, এই প্রজন্ম ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সেই চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে। তারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’

ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, মিডিয়া, পুলিশ, আমলা, সেনাবাহিনী ও সংবিধানের সংস্কার লাগবে। সংস্কারের মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ গড়ব। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের দেওয়ালে আমাদের ছাত্ররা যে গ্রাফিতি এঁকেছিল, সেই গ্রাফিতির মাধ্যমেই নতুন সংবিধান লেখা হয়ে গেছে। সে সব গ্রাফিতির মাধ্যমেই ৫ আগস্ট-পরবর্তী গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা লেখা হয়ে গিয়েছিল।’

ওই পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *