বাংলাদেশে ২০২৬ সালে শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনে তিনি এ কথা বলে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানান হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘ফোনালাপে ড. ইউনূস বলেন, সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপ দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংস্কারে ভূমিকা রাখবে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থার পুনর্গঠনে নিরলসভাবে কাজ করছে, যা পূর্ববর্তী সরকার পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’
ইউনূস বলেন, ‘আমাদের তরুণরা এবার জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।’
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, প্রায় ১৫ মিনিটের এই ফোনালাপে দুই নেতা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক আলোচনা করেছেন, যা দুই দেশের চমৎকার সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে।
আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং রোহিঙ্গা সংকটে সহযোগিতার বিষয় উঠে আসে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি ও নির্বাচনের উদ্যোগকে সমর্থন জানান।
ফোনালাপে ইউনূস সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠকের বিষয়ও উল্লেখ করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দৃঢ় করতে উভয়পক্ষের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ব্যবস্থা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য এজেন্ডা সমন্বয় করতে কার্যকর পদক্ষেপ প্রণয়নের কাজ চলছে।
রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করে ইউনূস বলেন, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় উজ্জ্বল।
ফোনালাপে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিয়েও আলোচনা হয় এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য রুবিওকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা।