গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আলো ঝলমলে সন্ধ্যায় পাকিস্তানের ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৭ রানে হারল বাংলাদেশ। হাসান আলির দুর্দান্ত পেস ঝড়ে মাত্র ১৯.২ ওভারেই ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।
টস হেরে আগে ব্যাট করে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। তবে এরপর হাসান নওয়াজ (৪৪), আগা সালমান (৫৬) ও শেষ দিকে শাদাব খানের (৪৮*) দাপুটে ইনিংসে ভর করে প্রথমবারের মতো লাহোরে ২০০ ছাড়ায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের পক্ষে বোলিংয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন, যিনি ১ উইকেট নিতে খরচ করেন ৫৫ রান। শেষ দিকের ওভারে পাকিস্তানের তাণ্ডবেই বড় সংগ্রহ গড়ে ফেলে তারা।
২০২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পারভেজ ইমন ফিরেন মাত্র ৪ রানে। শুরুতে কিছুটা আক্রমণাত্মক ছিলেন তানজিদ তামিম, কিন্তু তাকেও থামিয়ে দেন হাসান আলি। এরপর লিটন দাস ও তৌহিদ হৃদয় ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও বাড়ছিল কেবল চাপই।
লিটন দারুণ কিছু বাউন্ডারিতে ৩০ বলে ৪৮ রান করেন, কিন্তু তিনি ফিরতেই ভেঙে পড়ে রানের গতি। হৃদয় ছিলেন পুরো ইনিংসে ছন্দহীন, ২২ বলে করেন মাত্র ১৭। এরপর শামিম মাত্র ২ বলেই ফিরে গেলে ১৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১০৮/৫।
শেষ দিকে জাকের আলির ২১ বলে ৩৬ রানের ছোট্ট ঝড় কিছুটা আশা জাগালেও রানরেটের পাহাড় টপকানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১৯.২ ওভারে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বল হাতে ম্যাচের সেরা পারফরম্যান্স দেন হাসান আলি— ৫ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। সাথে ছিলেন অন্য বোলাররাও, যাঁরা মধ্য ওভারগুলোতে ম্যাচের রাশ ধরে রাখেন।
এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। আগামী ম্যাচে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের টপ ও মিডেল অর্ডার ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। একইসঙ্গে চাপের মুখে ধারাবাহিক ব্যর্থতার উত্তরও খুঁজে বের করতে হবে।