লাহোরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটাও যেন হলো বাংলাদেশের জন্য বিভীষিকাময়—আরেকটি পরাজয়, আরেকটি আত্মসমর্পণ। তবে এবার রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করল পাকিস্তান। মোহাম্মদ হারিসের ৪৫ বলে সেঞ্চুরির ওপর ভর করে পাকিস্তান সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়, সিরিজ ৩-০ তে নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শুরু করেছিল দুর্দান্তভাবে। পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১০.১ ওভারে তুলেন ১০০ রান। শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন ইমন, মাত্র ৩৪ বলে ৬৬ রান করে ফেরেন চার ছক্কা আর সাত বাউন্ডারিতে রাঙিয়ে। তামিমও ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে ৩২ বলে ৪২ রান করেন।
তবে এই জুটি ভাঙতেই থেমে যায় রানের গতি। মিডল অর্ডারে লিটন দাস, তৌহিদ হৃদয় আর শেষদিকে জাকের আলির ছোটখাটো ইনিংসে কোনো রকমে স্কোরবোর্ড দাঁড়ায় ১৯৬/৬। উইকেট ব্যাটিংয়ের অনুকূলে থাকলেও এই রান একদমই স্বস্তিদায়ক কোনো স্কোর ছিল না।
পাকিস্তান রান তাড়ায় নেমেই প্রথম ওভারে এক ধাক্কা খায়—মিরাজের বলে আউট হন ফারহান। তবে এরপর মাঠে নামে ‘হারিকেন হারিস’। ৪৬ বলে শতরান করে ফেলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার, ইনিংসের ঝাঁঝ এতটাই ছিল যে বল হাতে বাংলাদেশি বোলাররা কেবল দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। হারিসের ১০৭ রানের ইনিংসে ছিল ৭ ছক্কা ও ৮ চার।
সাইম আয়ুব করেন ৪৫ রান, আর শেষটা সিল করে দেন হাসান নওয়াজ, মাত্র ১৩ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থেকে। পাকিস্তান জয় নিশ্চিত করে ১৭.২ ওভারে, ১৬ বল হাতে রেখেই তুলে নেয় ১৯৭ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের জন্য দিনটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। রিশাদ হোসেন ও হাসান মাহমুদ ৩ ওভার করে বোলিং করে যথাক্রমে ৩৯ ও ৪২ রান দেন—উইকেটশূন্য। কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ কিছুটা দাঁড়াতে পেরেছেন, ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ দলের আরেকটি হতাশাজনক সিরিজ। হোয়াইটওয়াশের ধাক্কায় সামনে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। বিপরীতে পাকিস্তান আবারও দেখিয়ে দিল, কেন তারা এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বমঞ্চে ভয়ংকর প্রতিপক্ষ।