গলে টেস্টের তৃতীয় দিন থেকেই উইকেট ভাঙা শুরু হবে, ফাটল ধরবে, পপিং ক্রিজ ধুলোমাখা হয়ে যাবে, ফলে স্পিন ধরবে, আচমকা বল লাফিয়ে উঠবে; যুগ যুগ ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। বাংলাদেশ-শ্রীলংকার টেস্টে বলের ঘুর্ণি, আচমকা বাউন্স এবং শেষ বিকেলে রিভার্স সুইংও দেখা গেল, কিন্তু সেটা একদিন পর। লংকার স্পিন চ্যালেঞ্জ সামলে ১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে ৩ উইকেট ১৭৭ রান নিয়ে।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম আগামীকাল খেলা শুরু করবেন ১৮৭ রানের এগিয়ে থেকে। দলীয় ১২৮ রানের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে সাদমান ইসলাম আউট হওয়ার পর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। সেশনের শেষ দিকটায় লংকান বোলারদের তিনি সামলেছেন অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে। দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৯ রানের জুটি।
আগের ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি করেছেন শান্ত। ১১৩ বলে ৫৬* রান এই বাঁহাতি ব্যাটারের। মুশফিক অপরাজিত আছেন ২২ রানে। মুশফিক আসার আগে সাদমানের সাথেও মাঝারি একটা জুটি হয় শান্তর। ১৪৫ বল স্থায়ী ৬৮ রানের সেই জুটি ভাঙে মিলান রথনায়েকের নিচু হয়ে আসা দারুণ এক ইনসুইংগারে সাদমান এলবিডব্লিউ হলে। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংস ৭৬ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
চতুর্থ দিন দুপুরের পর থেকে বেশ ভালোভাবেই স্পিন ধরেছে গলের উইকেটে। বাংলাদেশি স্পিনার নাঈম হাসান একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ৪৮৫ রানে অলআউট হওয়ার পর শ্রীলংকাও বাংলাদেশকে তাই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে দুই স্পিনার প্রবাথ জয়সূরিয়া ও থারিন্দু রথনায়েকে দিয়ে। বড় টার্ন, আচমকা বাউন্সে বেশ ভালোই ভুগিয়েছেন দুজন বাংলাদেশি ব্যাটারদের।
সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন এনামুল হক বিজয়। এই ইনিংসেও ব্যর্থ এই ডানহাতি। প্রবাথের জোরের ওপর করা আচমকা লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। ফিরে যান মাত্র ৪ রান করে। নতুন বলে দুই পেসারের পর শুরুর দিকেই আক্রমণে আসেন দুজন। দুই স্পিনার মিলে করেছেন ৩১ ওভার। পেসাররা শেষদিকে উইকেট না পেলেও ৪০ ওভার পুরনো বলে রিভার্স সুইং আদায় করেছেন বেশ।