সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ১৯১ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখন ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে।
দুপুরের খাবারের পরেই বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় নামে। দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানে ৭ উইকেটে পৌঁছে টি-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ছিলেন ধ্বংসযজ্ঞের মূলনায়ক। তিনি ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি নেন আরও ২টি উইকেট। এতে বাংলাদেশের আক্রমণ ধসে পড়ে।
দুপুরে ৮৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোমিনুল হক যথাক্রমে, ৩০ ও ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু তারা দুজনেই ভুল শটে উইকেট দিয়ে বসেন। শান্ত মুজারাবানির একটি ঢিলে বল পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪০ রানে।
এরপর মাসাকাদজা আঘাত হানেন। তিনি প্রথমে মুশফিকুর রহিমকে মাত্র ৪ রানে ফিরিয়ে দেন। পরে মোমিনুল হককেও ৫৬ রানে ফেরান, যিনি স্লো স্যুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন।
মিডল ও লোয়ার অর্ডারও বেশ দুর্বল প্রতিরোধ গড়ে। মেহেদি হাসান মিরাজ মাত্র ১ রানে একটি শর্ট বল পেছনে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন মুজারাবানির বলে। এরপর তাইজুল ইসলামও পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ফলে ১২৩ রানে ৩ উইকেট থেকে ১৪৬ রানে ৭ উইকেট পতন হয় বাংলাদেশের।
সবশেষ ১০ রানে অপরাজিত জাকের আলি ও ৪ রানে থাকা হাসান মাহমুদ শেষ উইকেট জুটি হিসেবে ক্রিজে রয়েছেন। তারা চা-বিরতির আগে ওভার পার করলেও বিকেলের সেশনে বাংলাদেশের জন্য ইনিংস রক্ষা করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
এর আগে দিনের শুরুতে বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে স্পিন সহায়তা দিলেও প্রথম সেশনে সেটির সুফল পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দুপুরের পরপরই ছন্দপতন ঘটে, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচ যত গড়াবে উইকেট আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতামূলক স্কোর গড়তে বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারকে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে।