সিলেটে পাথর লুটে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হবে: উপদেষ্টা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: বাসস

সর্বদলীয় ঐক্যের কারণে সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ঝুঁকি নিতে পারছিল না বলে মনে করেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল অথবা প্রশাসন নীরব ছিল। স্থানীয় সর্বদলীয় ঐক্যের কারণে তারা হয়ত ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না। তারপরও আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখব।’

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ১০ থেকে ২০ বছরে কোনও মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী পরিবেশ সুরক্ষা তথা পর্যটন স্পট সুরক্ষার জন্য ফিল্ডে গিয়েছেন কিনা আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন।’

‘আমরা দুজন উপদেষ্টা গিয়েছিলাম পরিবেশকে রক্ষা করতে কিন্তু সেখানে আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছি। উপদেষ্টাদের একটা লিমিট আছে, আমরা মাইক্রো লেভেলের কোনও কাজ করতে যাব না। তবু সাদা পাথর এলাকাকে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন স্পটে রূপান্তরের লক্ষ্যেই আমরা সেখানে ভিজিট করতে গিয়েছিলাম। স্থানীয়দের বাধার পরও আমরা বলেছি এটাকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সেটা রক্ষা করতে পারে নাই।’

‘পিপল পাওয়ার’ নামে একটি কথা আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণ যেখানে শক্তিময় হয় সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডই কাজে লাগে না। জনগণেরই বিজয় হয়। আমি মনে করি সিলেটও সেভাবেই জনগণের বিজয় হবে।’

এসময় নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থানও তুলে ধরেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন। সেভাবে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে ইসিকে। ইসিও সেই নির্দেশনা মোতাবেক প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যই অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান।’

নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বিভিন্ন বক্তব্য আসছে সে বিষয়ে সরকারের অবস্থানও জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ইসিকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলের হিসাব-নিকাশ আছে, নিজস্ব রাজনীতি আছে। এটার সঙ্গে সরকারের অবস্থান বদলের কোনো সম্পর্ক নেই।’

দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর বিষয়েও প্রশ্নের জবাব দেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘বিদেশে মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর ব্যাপারে কোনও লিখিত নির্দেশনা আছে বলে জানা নেই। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদেও কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *