বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকার ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈষম্য’ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের সমালোচনায় নুরুল হক নুর বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকার বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈষম্য শুরু করেছে। যে রাজনৈতিক দলকে তারা জাতে তুলতে চায়, তারা দ্বিতীয় সারির দল। যে চারটা দলকে তারা বড় দল মনে করে, তার মধ্যে এক দলের নিবন্ধনও নেই। আমরা এটা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মিটিংয়ে বলেছি, প্রতিবাদ করেছি।’
‘এই বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ না হলে, সরকার গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত অংশীদারদের ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বড় দল, তাদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। তবে শুধুমাত্র তাদের আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন হয়নি। তারা ১৬ বছর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে, আমাদের আন্দোলনেই পতনের মঞ্চ তৈরি হয়েছে। অথচ সরকার আমাদের চরমভাবে অবমূল্যায়ন করছে, অবজ্ঞা করছে।’
‘দুঃসময়ে সরকার আমাদের ডাকে- সচিবালয়ের হামলা ঠেকাতে, প্রোপাগান্ডা মোকাবেলায় কিংবা সংকট নিরসনে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণে, নীতিনির্ধারণে আমাদের কোন স্থান নেই। এটি দ্বিচারিতা।’
প্রশাসনের বর্তমান কাঠামো দিয়ে কখনোই অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মত দিয়ে নুর বলেন, ‘প্রশাসনকে পুনর্গঠন করতে হবে। দক্ষ ও পেশাদারদের তুলে এনে নতুন করে সাজাতে হবে প্রশাসনিক কাঠামো।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র? কেন এই সিদ্ধান্ত, কাদের স্বার্থে ? -এ প্রশ্ন সরকারের কাছে আমরা রাখতে চাই।’
চট্রগ্রাম বন্দর ও আঞ্চলিক করিডর ইস্যুতে সরকারের একপাক্ষিক সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন গণ অধিকার পরিষদের এ নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য হাসান আল মামুনসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।