সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
সিরডাপ মিলনায়তনে মেরিন স্পেশাল প্লান (এমএসপি) ওয়েব-জিআইএস প্ল্যাটফর্মের আন্তমন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: টাইমস

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সম্পদ রয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, ‘এজন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণ ও চিহ্নিত করে তা কাজে লাগাতে হবে। আর এজন্য মেরিন স্পেশাল প্লানে (এমএসপি) যে পরামর্শ এসেছে সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।‘

মঙ্গলবার সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে মেরিন স্পেশাল প্লান (এমএসপি) ওয়েব-জিআইএস প্ল্যাটফর্মের আন্তমন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে মেরিন ফিসারিজ ও ডিপ সি ফিসারিজের সম্ভাবনাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আরও গভীরভাবে কাজ করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদে কাজ করলেও গভীর সমুদ্র মৎস্যসম্পদ নিয়ে খুব বেশি কাজ করতে পারেনি।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে না পারলে মাছের উৎপাদন বাড়লেও তা আহরণ করার কেউ থাকবে না। এজন্য মৎস্যজীবী ও আনুষঙ্গিক খাতের সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতে হবে, তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘পরিবেশ-প্রতিবেশ তথা প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন হবে না, এটা প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা। আমরা এমন উন্নয়ন চাই না যেখানে প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট হয়। তাই আমরা যত উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনা করি না কেন, সেখানে পরিবেশগত ও সামাজিক ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনোভাবেই প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাছের চরিত্র বোঝে পরিকল্পনা সাজাতে হবে, কারণ সব মাছের স্বভাব, কাজ, খাদ্যাভ্যাস এক নয়। যে মাছের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার, তা করতে হবে। যেমন, ইলিশ যেখানে থাকে বা যে ধরনের খাবার খায়, তাতে অন্য মাছ খায় না। তাই তার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ দরকার।’

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।

তিনি বলেন, ‘সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা জরুরি।’

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প (এসসিএমএফপি)-এর পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *