এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে গ্রুপ পর্বের শেষ লড়াই আজ। মাত্র আধা ঘণ্টা পরই মাঠে নামছে বাংলাদেশের মেয়েরা, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে লাওসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই জয়ে তাদের পয়েন্ট বাংলাদেশের সমান, গোল ডিফারেন্সও একেবারে সমান হয়ে গেছে। তবে বেশি গোল করার সুবাদে এখনো শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
তবে বাস্তবতা মেনে নিলে, কাগজে কলমে দুই দলের অবস্থান কাছাকাছি হলেও সিনিয়র দলের র্যাংকিং পার্থক্য বিশাল। সেই হিসেবেই পা মাটিতে রেখে অন্তত একটি ড্র হবে আমাদের বড় অর্জন। জয় তো বটেই, এমনকি ড্র করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশ।
এমনকি ম্যাচে হারলেও যদি তা হয় কম ব্যবধানে, তাতেও রয়েছে মূল পর্বে খেলার নিশ্চয়তা। কারণ আজকের অন্যান্য ম্যাচের ফলাফল ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জন্য সমীকরণ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।
এখন সব খেলার পর যা চিত্র দাঁড়িয়েছে তা হলো, গ্রুপ এ ও ডি এর রানার্সআপরা ইতোমধ্যেই সমীকরণের বাইরে। গ্রুপ বি তে হংকং রানার্সআপ হওয়ার পথে থাকলেও তাদের গোল ডিফারেন্স -৫। শেষ ম্যাচে ৮-৯ গোলের বড় জয় ছাড়া তাদের কোয়ালিফাই সম্ভব নয়। গ্রুপ সি তে ইরান খেলবে জাপানের বিপক্ষে, যা তাদের গোল ব্যবধান আরও খারাপ করার সম্ভাবনা রাখে। লেবাননের শেষ প্রতিপক্ষ চীন, যাদের বিপক্ষে বড় হারের আশঙ্কা প্রবল। সব মিলিয়ে আট গ্রুপের মধ্যে অন্তত পাঁচটি রানার্সআপ দল বাংলাদেশের জন্য কোনো হুমকি নয়।
অতএব, আজকের ম্যাচে যদি বাংলাদেশ ১) জিতে ২) ড্র করে অথবা ৩) বা কম ব্যবধানে হারে তাহলে নির্ভারভাবেই নিশ্চিত করবে মূল পর্বের টিকিট, কোনো জটিল সমীকরণ ছাড়াই।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের একাদশে রয়েছেন গোলরক্ষক স্বর্ণা রাণী মণ্ডল, ফরোয়ার্ড নাবিরান খাতুন , ডিফেন্ডার জয়নব বিবি রিতা ও আফঈদা খন্দকার, মিডফিল্ডার সপ্না রাণী, ফরোয়ার্ড শ্রীমতী তৃষ্ণা ও সাগরিকা , মিডফিল্ডার মুন্কি আক্তার , ফরোয়ার্ড পূজা দাস , মিডফিল্ডার সিন্থা শিখা ও শান্তি মার্ডি।