ঢাকার মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় নিহত গৃহবধূ ফাহমিদা তাহসিন কেয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও নিহতের স্বামী সিফাত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বাদীপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান।
বাদীর আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বলেন, ‘কেয়াকে হত্যা করেছে তার স্বামী সিফাত আলী। এজন্য আমরা আজ তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, দিশা সিকদার (২৯), কাজী মারুফ নেওয়াজ প্রেম (৩১), মো. আজাদ হোসেন (৪০), মনির (২২), মো. জীবন (২৮), ড্রাইভার মুকুল (৩৫), মাহফুজ সিকদার (৩৫), ড্রাইভার ইমতিয়াজ (৪০)।
এছাড়া আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এ ঘটনায় জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সৈয়দা ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৬) প্রায় ১৩ বছর আগে আসামি সিফাত আলীর (৩১) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ, শারীরিক নির্যাতন ও মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনে ভুগছিলেন কেয়া।
গত ১৪ আগস্ট রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ১টা ৫৬ মিনিটের মধ্যে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ফ্লাটে কেয়ার স্বামী সিফাত আলী ও আরও কয়েকজন মিলে যোগসাজশে তাকে হত্যা করে।
ঘটনার পর রাতে সিফাত আলী তার শ্বাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে বলেন, ‘কেয়া নেই’। পরবর্তীতে কেয়ার বাবার বাড়ির লোকজন তার খোঁজে বের হলে, সিফাত প্রথমে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলেন। পরে মত পরিবর্তন করে বিআরবি হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা জানতে পারেন, কেয়া মৃত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেয়ার মরদেহ ঢামেকে নিয়ে যেতে বলে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কেয়ার মরদেহে গলা, ডান বাহু এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও কালশিরা দেখতে পান।
পরে এ ঘটনায় মৃত কেয়ার মা নাজমা বেগম মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।