লড়াই হেরে গিয়েও গর্বিত পিটার বাটলার

টাইমস স্পোর্টস
2 Min Read
দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরেও মেয়েদের খেলায় গর্বিত পিটার বাটলার। ছবি: বাফুফে

বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার শেষ বাঁশি বাজতেই হাসিমুখে হাততালি দিয়েছেন। স্কোরলাইনে পরাজয় থাকলেও মাঠে লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের অন্যতম সেরা অনূর্ধ্ব-২০ দলের বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ক্লান্তি ও শারীরিক সীমাবদ্ধতা সামনে চলে আসে, আর সেখানেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে বাটলার স্বীকার করলেন, বিরতিতে গিয়েই তিনি বুঝেছিলেন মেয়েরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের কয়েকজন জ্বরে ভুগছিল, কেউ চোটে ছিল, নানা সমস্যায় পড়েছিলাম। বিরতিতে বুঝেছিলাম শক্তি ফুরিয়ে আসছে। তবু মেয়েরা যেভাবে লড়েছে, তা আমাকে গর্বিত করেছে। আমরা কেবল একটি ম্যাচের জন্য এখানে আসিনি, বরং তিন-চার ম্যাচ মিলিয়ে আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেছি। শুধু শেষটুকু রঙিন করতে পারিনি।’

প্রথমার্ধের স্মৃতিচারণায় বাটলার বলেন, ‘আমরা সমানে সমান খেলেছি। চাইলে গাঢ় রক্ষণে চলে যেতে পারতাম, লম্বা বল খেলতে পারতাম। কিন্তু এটা আমার ধারা নয়। আমরা নিজেদের ফুটবল খেলতে চেয়েছি, প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক না কেন।’

তাঁর চোখে এই ম্যাচ বড় শিক্ষা দিয়েছে। ‘দ্বিতীয়ার্ধে তারা আমাদের চাপে রেখেছিল, তবু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক ছিল। মনে রাখতে হবে, এটা আমাদের দীর্ঘ যাত্রার অংশ,’ বলেন কোচ।

বাংলাদেশ নারী দলের ধীরে ধীরে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির পেছনের গল্পও শোনালেন বাটলার। তাঁর ভাষায়, ‘এটা হঠাৎ করে হয়নি। গত বছর চাইনিজ তাইপেতে শুরু হয়েছিল যাত্রা, পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ এশিয়ায় খেলেছি। প্রতিযোগিতামূলক ও সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে পেরেছি। মেয়েরা দারুণ করেছে, স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য তারা।’

বর্তমানে বাংলাদেশ রয়েছে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ১০৪ নম্বরে। তবে বাটলার সতর্ক, ‘এটা সাপলুডুর মতো, ওপরে উঠলে নিচেও নামা যায় দ্রুত। আমাদের বাস্তববাদী হয়ে পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে, লক্ষ্য থাকবে শীর্ষ ১০০-এ প্রবেশ করা।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *