পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) নাটকীয় এক ম্যাচে রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ৯৫ রানে হারিয়ে এবারের ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মুখোমুখি হবে লাহোর।
বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ এ ম্যাচেই প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই বল হাতে প্রভাব রেখেছেন। যদিও প্রথম ওভারটি খরচাসুলভ ছিল—১৪ রান দিয়েছিলেন কোনো উইকেট ছাড়াই। তবে পরের তিন ওভারে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন সালমান আঘার উইকেট। এরপর তৃতীয় ওভারে ছক্কা খাওয়ার পরের বলেই আউট করেন ইসলামাবাদ অধিনায়ক শাদাব খানকে। নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে ফিরিয়ে দেন জিমি নিশামকে। শেষপর্যন্ত ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
এদিন ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বল হাতে ৩ ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান, কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতেও হতাশ করেছেন তিনি—ইনিংসের শেষ ওভারে দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে আউট হন টাইমাল মিলসের বলে।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে লাহোর শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেন ফখর জামান। তবে মোহাম্মদ নাইম ও আব্দুল্লাহ শফিক মিলে গড়ে তোলেন ৭০ রানের জুটি। নাইম মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করে ফিরে যান ৫৫ রানে। এরপর শফিক (২৫), কুশাল পেরেরা (৬১*) ও রাজাপাকশে (২২) মিলে দলকে নিয়ে যান ২০০ পেরোনো সংগ্রহে। শেষ দিকে আসিফ আলী করেন ৭ বলে ১৫ রান।
লাহোরের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ২০২ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইসলামাবাদ। শুরুতে ১২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় দলটি—সালমান মির্জা ও শাহীন শাহ আফ্রিদির আগুন ঝরানো বোলিংয়ে। শাহীন নেন ৩ উইকেট মাত্র ৩ রানে, সালমানের শিকার ৩ উইকেট ১৬ রানে। পরে রিশাদের স্পিন ঘূর্ণিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ইসলামাবাদের মিডল অর্ডার। ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পুরো দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৭ রানে।
এই ম্যাচে রিশাদ ব্যাট হাতে ৫ রান করে রানআউট হন ইনিংসের শেষ বলে। প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করলেও শেষটা হয়নি প্রত্যাশামতো।
অবশ্য দিনের নায়ক তিনিই—দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আবার পিএসএলে ফিরে এসেই এনে দিলেন ফাইনালের টিকিট। এখন দেখার বিষয়, কোয়েটার বিপক্ষে ফাইনালেও কি এমন কিছু করে দেখাতে পারেন বাংলাদেশের এই তরুণ লেগ স্পিনার।