
জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের ‘সুন্দর মহল’ নামক পৈত্রিক বাসভবনে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এনিয়ে বেশ কয়েক দফা ভবনটিতে হামলা হলো। বিক্ষুদ্ধ জনতা এক পর্যায়ে ভবনটির নাম বদলে ‘দালাল মহল’ লিখে দেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোডস্থ সুন্দর মহলে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পত্নী রওশন এরশাদ। ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে রওশন একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। সেখানেই তার পৈত্রিক বাসভবন সুন্দর মহল। বর্তমানে সেখানে পরিবারের তেমন কেউ থাকেন না।
গতবছর ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে রওশন এরশাদের পাশাপাশি জনতার ক্ষোভ গিয়ে পড়ে এ বাড়িটির প্রতি। গোপনে এ বাসভবনটি কুটুমবাড়ী নামক একটি রেস্তোরাঁর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বাড়িটি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে রেস্তোরাঁ নির্মাণ ও ডেকোরেশনের কাজ শুরু করেছে ইতোমধ্যে।
এদিকে ময়মনসিংহের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভবনটিকে ‘দালাল মহল’ ঘোষণার দাবি তুলে কয়েক দফা সেখানে হানা দেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা সেখানে গিয়ে দেয়ালে দেয়ালে এ কথা লিখে রাখেন। তবে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানতে নারাজ। তারা যেহেতু মালিকপক্ষের কাছে থেকে ভাড়া নিয়েছেন, তাই ভবনটিতে তাদের ব্যবহারের জন্য সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ও বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা একটি মিছিল নিয়ে সুন্দর মহলে গিয়ে রেস্তোরাঁর নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয়। এ সময় তারা নির্মাণাধীন রেস্তোরাঁর দেয়াল এবং বাসভবনের ভেতরে ঢুকে বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনার ব্যাপারে কুটুমবাড়ী রেস্তোরাঁর পরিচালক বজলুর রহমান মিন্টুর বক্তব্য জানা যায়নি।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘ছাত্র-জনতা নির্মাণাধীন রেস্তোরাঁর কিছু অংশে ভাঙচুর করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’