পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত।
দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ) অনিল চৌহান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য স্বীকার করেন।
আলোচিত এই অপারেশনে বিমান হামলায় ‘ক্ষয়ক্ষতির’ কথা স্বীকার করলেও ভারত ঠিক কতগুলো যুদ্ধবিমান হারিয়েছে তা জানাননি চৌহান।
সিঙ্গাপুরের সাংগ্রি-লা ডায়ালগ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনিল চৌহান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই ক্ষয়ক্ষতি কেন হলো তা নির্ধারণ করা এবং এরপর আমরা কী করব।’
‘আমরা কৌশল বদল করে ৭, ৮ ও ১০ তারিখে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে বিমান ঘাঁটিগুলোতে সুনির্দিষ্ট জায়গায় হামলা চালাই।’
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দাবি, ৭ মে রাতে ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার পর ভারত আর তাদের যুদ্ধবিমান ওড়ায়নি।
তখন ভারত যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার তথ্য আড়াল করে সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তারা পাকিস্তানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই হামলা চালিয়েছে।
অনিল চৌহান সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভারতীয় বিমান বাহিনী ১০ মে সব ধরনের অস্ত্রসহ যুদ্ধবিমান উড়িয়েছিল।’
যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ব্যাপারে পাকিস্তানের দাবি নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ভারতের কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে ভারতের এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ’। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে ভারত।
ইসলামাবাদ অবশ্য তখন নিজেদের বিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা অস্বীকার করলেও তাদের বিমান ঘাঁটিগুলোয় হামলার কথা স্বীকার করে নেয়।
চার দিন সংঘাত চলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। স্বল্পমেয়াদী এ যুদ্ধে দু’দেশের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য মেলেনি।