প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তি পরিচিতি থাকায় মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক গোল টেবিল বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। এতে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল তিতুমীর, অর্থনীতিবিদ জৌতি রহমান ও জিয়া হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘অনেকে বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার দুর্বল, অভিজ্ঞতা নেই, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভালো চুক্তি আদায় করতে পারবে না। কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি—সঠিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস থাকলে অন্তর্বর্তী সরকারও বড় সাফল্য অর্জন করতে পারে।’
শুরু থেকেই সরকার জানত এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকার এবং সে কারণে মনোযোগ ছিল বাস্তবসম্মত ও দ্রুত ফল আনা যায়—এমন ক্ষেত্রে। আমরা শুরু থেকেই কনফিডেন্ট ছিলাম যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ভালো চুক্তি করা সম্ভব,যোগ করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতি-দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই প্রতিবেশী একটি দেশের গণমাধ্যম থেকে প্রচুর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হলেও বাংলাদেশ সঠিক কূটনৈতিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সেটি মোকাবেলা করতে পেরেছে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘শুরু থেকেই শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। শুল্ক আরও কমানোর চেষ্টা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য মার্কেটের সঙ্গে প্রভাব কী হবে, সেটা মাথায় রেখেই আলোচনা সাপেক্ষে দর কষাকষি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।’