রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ ছয়জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ১৩ জনকে নেয়া হয়েছে কেবিনে।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দিন। এ সময় ইনস্টিটিউটের সিনিয়র চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্ঘটনাটিতে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে শোক প্রকাশ করে নাসির বলেন, ‘এখনো ৪২ জন ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ক্রিটিক্যাল ছয়জনসহ আটজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’
শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হওয়ায় ১৩ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে কেবিনে। তাদেরকে খুব দ্রুতই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। পরবর্তীতে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাদেরকে আসতে হবে, যোগ করেন তিনি।
পরিচালক নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভারত থেকে চিকিৎসক দল এসেছে। এ ছাড়া বুধবার সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসক দলের সঙ্গে আজও বৈঠক করা হয়েছে। চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গেও ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক হয়েছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ আগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।‘
কোমলমতি এসব শিশুদের চিকিৎসার জন্য পুরো বিশ্ব সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানান ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক।
এদিন দুপুরে সায়মন (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার শরীর কোনো ধরনের দগ্ধ হয়নি।
এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৫১ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্যে এ কথা বলা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইএসপিআরের সঙ্গে সমন্বয় করেই এ তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে।