ভারতের গুজরাট রাজ্যে বুধবার একটি সেতু ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৫ জন হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর জীবিত ফিরে আসা অনেকেই বলছেন, তারা শুরুতে ভেবেছিলেন এটা কোনো বিস্ফোরণ বা ভূমিকম্প।
সেতুটি ধসের কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আনোয়ার নামের এক ব্যক্তি, যিনি একটি ভ্যানে দুই যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং বুধবার সকালে সেতুতে ছিলেন। তিনি জানান, হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনতে পান—সেতুর একটি অংশ তার পেছনে মহিসাগর নদীতে ধসে পড়ে, একই সঙ্গে কিছু যানবাহনও পড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, একটা বিস্ফোরণের মতো বিকট শব্দ হলো এবং আমাদের পেছনের অংশটা ভেঙে পড়ে। আমাদের ভ্যানটাও পেছনের দিকে গড়াতে শুরু করে, তখনই আমরা দ্রুত লাফ দিয়ে নেমে পড়ি।‘
৪০ বছর পুরনো এই সেতুটি গুজরাটের ভদোদরা জেলা ও মধ্যাঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করত এবং এটি সাধারণত বেশ ব্যস্ত থাকত।
দুর্ঘটনার পর যে দৃশ্য দেখা গেছে, তাতে দেখা যায়, একটি ট্রাক সেতুর ভাঙা অংশের কিনারায় বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে—পরে সেটিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কয়েকটি লরি, প্রাইভেটকার ও একটি অটোরিকশা নদীতে পড়ে যায়। এখনো অন্তত চারজন নিখোঁজ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর কর্মকর্তা সুরেন্দর সিং সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এলাকা খুঁজে দেখা, মৃতদেহ ও জীবিত কাউকে পেলে উদ্ধার করা।’