মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে। বৃহস্পতিবার বাজার খোলার পর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন পাঁচ লাখ কোটি রুপির বেশি।
ইকোনমিক টাইমস–এর তথ্য অনুযায়ী, মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মোট বাজারমূল্য (মার্কেট ক্যাপ) নেমে আসে ৪৫৩.৩ লাখ কোটি রুপিতে, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি কম। সূচকগুলো বাজার খোলার পরই বড় ধরনের পতনের মুখে পড়ে।
সব খাতেই ছিল নেতিবাচক প্রবণতা, এর মধ্যে তেল ও গ্যাস খাত ছিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ভারত পেট্রোলিয়াম, ইন্ডিয়ান অয়েল, গুজরাট গ্যাস, মহানগর গ্যাস ও ওএনজিসির শেয়ারে বড় পতন দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ভারতের বাজার থেকে প্রায় ৮৫০ কোটি রুপির শেয়ার বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে।
সেনসেক্সে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, টাটা মোটরস, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা, ভারতী এয়ারটেল, টাইটান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। তবে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, পাওয়ারগ্রিড ও ইটারনাল কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থানে ছিল।
এই ধসের প্রভাব পড়েছে অন্যান্য এশীয় বাজারেও। দক্ষিণ কোরিয়ার কসপাই, চীনের সাংহাই কম্পোজিট ও হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক নিম্নমুখী ছিল। তবে জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী ধারায়।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে রুপির মান কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ডলারের বিপরীতে রুপির মান দিনের শুরুতে ১৪ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৭.৬৬-এ, যদিও পরে তা কমে ৮৭.৭৪ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (স্থানীয় সময়) ঘোষণা দেন, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে। আগামী ১ আগস্ট থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। একইসঙ্গে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার জন্য ভারতকে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও কী ধরনের শাস্তি হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।