পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারতীয় পাকিস্তান ও আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে ‘বেসামরিক নাগরিক’ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ ও আহত ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার রাতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে অন্তত ২৬ ‘বেসামরিক নাগরিক’ নিহত এবং আরও ৪৬ জন আহত হন বলে দুপুরে জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। ভারতের এনডিটিভি অবশ্য নিহতের সংখ্যা ৭০ বলছে। গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহতের জেরে পাকিস্তানে ওই হামলা চালায় ভারত।
পাকিস্তানের জিওটিভি জানিয়েছে, বুধবার ডিজি আইএসপিআর ‘বিনা উস্কানিতে হামলা’র জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করে বলেন, ‘ভারতীয় বাহিনী রাতের অন্ধকারে মসজিদ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ ছয়টি বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।’
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান এই হামলার জবাবে আত্মরক্ষার্থে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান (তিনটি রাফালসহ) এবং সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ও একাধিক চৌকি।
ভারতকে অভিযুক্ত করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘শত্রুর কাপুরুষতা এতটাই যে তারা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ না করে নিরীহ জনবসতি ও শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।’
‘এ ধরণের আচরণ ভারতীয় আগ্রাসনের চূড়ান্ত রূপ ও দিশেহারা মানসিকতার প্রকাশ’, মন্তব্য করেন তিনি।
আইএসপিআর প্রধান বলেন, ‘ভারতীয় বাহিনী নিয়ালাম-ঝেলাম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেও গোলাবর্ষণ করেছে, যা জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমরা আত্মরক্ষার জন্য শুধু সামরিক লক্ষ্যে পাল্টা হামলা করেছি। আমাদের বাহিনী কোনো বেসামরিক নাগরিককে লক্ষ্য করেনি।’
পাক সেনাবাহিনীর পক্ষে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ভূখণ্ড ও জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করব না। পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে তা প্রয়োগ করবে।’
‘সেনাবাহিনী ও জনগণ একসঙ্গে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে’, যোগ করেন তিনি।