সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আমিনুল ইসলাম বুলবুল এসেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হিসেবে। সভাপতি হিসেবে তার পথচলা কি আসন্ন বিসিবি নির্বাচন পর্যন্তই? নাকি লড়বেন তিনি নিজেও? এসব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল গত কিছুদিন ধরে। সোমবার সিলেটে বিসিবির ভার্চুয়াল সভা শেষে জানা গেছে, আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
এরপর থেকে আরো আগ্রহ বাড়ছে নির্বাচনে বুলবুলের প্রতিন্দ্বদ্বিতা করা নিয়ে। এতদিন সরাসরি কিছু না বললেও, মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান জানান, অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় বিসিবি নির্বাচনে পরিচালক পদে লড়বেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, ‘অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আমরা ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করব। প্রপার ইলেকশনই করব। এখানে সভাপতি নির্বাচন হয় না, এখানে পরিচালকদের নির্বাচন হয়। সেটা প্রথম লক্ষ্য এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করব। পরবর্তীতে যদি সুযোগ হয় আমি চেষ্টা করব যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে সার্ভ করার জন্য।’
সোমবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুরুর আগে সভা শেষে সিলেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে আসেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান ফাহিম। সভায় তার সাথে সশরীরে উপস্থিত ছিল বুলবুল। বাকি পরিচালকরা যুক্ত হয়েছিলেন ভিডিও কনফারেন্সে।
সভা শেষে ফাহিম জানান, বহুল আলোচিত বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকে। অন্যতম সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিসিবি ইলেকশন অনুষ্ঠিত হবে। স্পেসিফিক ডেট, ইলেকশন কমিশনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো। বাট অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ইলেকশন অনুষ্ঠিত হবে। এটা ইলেকশন সংক্রান্ত ইনফরমেশন।’
নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ফাহিম বলেছেন আগামী দুই-একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নামও বিবেচনায় রাখছেন তারা, ‘ইলেকশন কমিশন বাই নেম এখনো গঠন করা হয়নি। ইলেকশন, সেটা প্রেসিডেন্টের উপর ছাড়া হয়েছে নাম রেকমেন্ড করার জন্য। বাট তিন সদস্য বিশিষ্ট একটা ইলেকশন কমিশন গঠিত হবে এবং আমার ধারণা আমরা দু-একদিনের মধ্যেই সেটা জানতে পারব।’