বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় দোষীদের রক্ষা করার জন্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, বিএনপি যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, সেখানে সরকার কেন এমন অনিয়ম সহ্য করছে।
শনিবার দলীয় এাক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি—কোনো অন্যায়কে বরদাস্ত করা হবে না, সেটা যেই করুক। তাহলে সরকার চুপ কেন? আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কেন? যে খুনি সবার চোখের সামনে ভিডিওতে দেখা গেছে, তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন?’
সম্প্রতি এক যুবদল কর্মীর হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘দুদিন আগেই আরেকটা হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কেন এই বিষয়ে নীরবতা? আমরা বিচার চাইলে কেন আমাদের বিরুদ্ধে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলা হয়?’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। যেকোনো অপরাধীকে দলীয় পরিচয় নির্বিশেষে আইনের আওতায় আনা উচিত।‘
‘কোনো অপরাধীকে কখনোই দলীয় পরিচয়ে রক্ষা করা যায় না,’ যোগ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক নিহত বিএনপি কর্মীর বাবার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারেক বলেন, ‘এই প্রশ্ন এখন কেবল একটি পরিবারের নয়, সমগ্র জাতির।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদদের ন্যায়বিচার কেন বিলম্বিত হচ্ছে? কে জনমতকে প্রভাবিত করে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছে? এই প্রশ্নগুলো এখন গোটা জনগণের প্রশ্ন।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি ”গোপন শত্রু” এখন প্রকাশ্যে আসছে এবং দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেশের অস্তিত্ব এবং জনগণের ভাগ্যর সঙ্গে জড়িত।’ সমর্থকদেরকে জবাবদিহিতার দাবিতে আওয়াজ তোলারও আহ্বান জানান তিনি
বক্তব্যের শেষে দেশবাসীকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, ’যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে ছিল, আর যারা ছিল না, সেই পার্থক্য যেন এখন স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়া হয় এবং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই বিভাজনকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।’