“বাংলা ব্লকেড” নিয়ে কর্নেল তারেক চাপ সৃষ্টি করেন’

টাইমস রিপোর্ট
11 Min Read
জুলাই অভ্যুত্থানে ‘বাংলা ব্লকেড’ দ্রুত গতিসঞ্চার করে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ছবি: জান্নাতুল ফেরদাউস/টাইমস
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক, বর্তমান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

‘৬ জুলাই পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি ছিল বিক্ষোভ মিছিল। ৭ জুলাই থেকে শুরু হলো “বাংলা ব্লকেড”। আদালত দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করছিলেন। ৪ জুলাই হাইকোর্টের শুনানিটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে অবজ্ঞার চোখে দেখা হচ্ছিল। শাহবাগে অবরোধ চলাকালে গাড়িগুলো পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল। তাতে আন্দোলনের প্রভাব প্রত্যাশা অনুযায়ী পূরণ হচ্ছিল না। আমরা ভাবতে লাগলাম, আরেকটু বড় কিছু করতে হবে। ঢাকার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ইতিমধ্যে আন্দোলনে যুক্ত হওয়ায় আমাদের জনবলও বেশ বেড়ে গিয়েছিল। আরও বড় পরিসরে আন্দোলন করার চিন্তা থেকে “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়,’ — এভাবেই স্মৃতিচারণ করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক,  বর্তমান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক গ্রন্থে অভ্যুত্থানের দিনলিপি তুলে ধরেছেন সজিব ভূঁইয়া। গত মার্চে প্রথমা প্রকাশনের প্রকাশিত বইটিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ পর্বে তিনি জানিয়েছেন স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের    অনেক অজানা কথা।

আসিফ মাহমুদ বলেন,  “বাংলা ব্লকেড”-এর আগের রাতে কার্জন হলের হোয়াইট হাউসের (প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ভবন) সিঁড়িতে বসে আন্দোলনের সংগঠকেরা আলোচনা করি। এরই মধ্যে বহু প্রতিষ্ঠান আন্দোলনে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় আমরা ভাবছিলাম, সবাইকে শাহবাগে নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই। ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ নীলক্ষেত-সায়েন্স ল্যাব বন্ধ করে দিতে পারে, জিরো পয়েন্ট বন্ধ করে দিতে পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চানখাঁরপুল বন্ধ করে দিতে পারে বোরহানুদ্দীন কলেজ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তো ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করছিলই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সমাগমও যথেষ্ট বড় হচ্ছিল। এটাকে ব্যবহার করে আমরা আশপাশের জায়গাগুলো বন্ধ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি। এর জন্য সাধারণভাবে আমাদের মাথায় ছিল অবরোধ। কিন্তু ৬ জুলাই সন্ধ্যায় টিএসসিতে দেখা হলে মাহফুজ ভাই পরের দিনের কর্মসূচির নাম প্রস্তাব করেন “বিডি ব্লকেড”। তিনি সাধারণত বৈঠকগুলোতে থাকতেন না। পেছনে থেকে নাহিদ ইসলাম, বাকের মজুমদার, আমাকেসহ কয়েকজনকে পরামর্শ দিতেন। কার্জন হলের আলোচনায় আমরা মাহফুজ আলমের প্রস্তাবিত নামটা উত্থাপন করি। সেখানে প্রস্তাব আসে নামটা যদি “বাংলা ব্লকেড” দেওয়া হয়, তাহলে শব্দে ছন্দ আসে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কার্জন হলের বৈঠকে “বাংলা ব্লকেড” নাম চূড়ান্ত হলো। এখন এই কর্মসূচি কীভাবে সফল করা যায়, কোন কোন পয়েন্টে কোন কোন প্রতিষ্ঠান থাকবে, কোন পয়েন্টে কোন হল থাকবে, তা নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়। যেমন রাজসিক মোড়ে বিজয় একাত্তর হল, মৎস্য ভবন ও পল্টন মোড়ে বিজ্ঞানের তিন হল (ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও অমর একুশে হল)। এভাবে পুরো পরিকল্পনা সাজানো হয়। প্রতিটি হলের প্রতিনিধিদের দায়িত্বও ভাগ করা হয়।’

জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। ছবি: জান্নাতুল ফেরদাউস/টাইমস

‘৭ জুলাই প্রথমে “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি খুব বড় পরিসরে হয়নি। আমরা চার-পাঁচটা গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করতে পারি। এ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো ছাত্রসংগঠন যুক্ত ছিল না। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা হতো। “বাংলা ব্লকেড” শুরু হওয়ার পর টিএসসির মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে কয়েকটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। আন্দোলন নিয়ে তাদের কিছু মতামত ও সমালোদদচনা ছিল। এর বাইরে ছাত্রদলের কারও কারও সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ হচ্ছিল, তবে নেতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে তখনো কথা হয়নি। ৭ জুলাই আমরা “বাংলা ব্লকেড”-এ বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়েছিলাম। ৮ জুলাইয়ের “ব্লকেডে” ফার্মগেট পর্যন্ত গিয়েছি। ফার্মগেট থেকে চানখাঁরপুল এলাকায় সেদিন “ব্লকেড” ছিল। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালী আটকে দেয়। ফলে পুরো ঢাকা শহর অচল হয়ে পড়ে। আমাদের স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল কেউ যাতে কোনোভাবেই সহিংসতায় না জড়ায়।’

“ব্লকেডে” এত সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে জনজীবনে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। ফলে সরকারের ওপর চাপ তৈরি হতে থাকে। আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত “ব্লকেড” করতাম। “ব্লকেড” শেষে সবাই শাহবাগে আসত। সেখানে কেন্দ্রীয় সমাবেশে পরবর্তী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা শেষে সবাই চলে যেত।’

ব্লকেড কর্মসূচিতে সরকার কতোটা ভায় পেয়েছিল, তার ব্যাখায় আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘৭ জুলাই “ব্লকেডের” পর সন্ধ্যা নাগাদ যখন সবাই শাহবাগে এল, তখন হঠাৎ নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তাদের ফোনও বন্ধ ছিল। একজনের কাছে শুনলাম, তাদের পুলিশ ডেকে নিয়ে গেছে। এই খবরে সবার মধ্যে একটু আতঙ্ক তৈরি হলো। তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য শাহবাগে স্লোগান দেওয়া হয়। তাদের শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে, এমন খবর শুনে আমি সেখানে গিয়ে তাদের খুঁজে পাইনি। এ সময় শাহবাগে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে আমাকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

‘পরে যোগাযোগ করে জানা যায়, ডিজিএফআই তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ডেকে নিয়েছে। ডিজিএফআই পরবর্তী কর্মসূচি আরও নমনীয় এবং তাদের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছে। আমি শাহবাগ থানা থেকে বের হয়ে দেখি, তারা তিনজন টিএসসি থেকে শাহবাগের দিকে আসছেন। পরে চারজন একসঙ্গে শাহবাগ মোড়ে গেলাম’, বলেন তিনি।

“ব্লকেডের” সময় আমাদের চার দফা এক দফায় চলে এল। দেখা যাচ্ছিল, চার দফা আমরা দুই-তিনজন ব্যাখ্যা করতে পারছিলাম। বিভিন্ন টক শো বা আলোচনায় এগুলো ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারায় সংশয় তৈরি হচ্ছিল। এ ছাড়া তখনকার টক শোগুলোতে এটাকে আইনি বিষয় বা সরকারের কিছু করার নেই, সরকার আমাদের পক্ষে-এগুলো বলে আমাদের চাপে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের দাবি স্পষ্ট রাখার চেষ্টা করি। এই উদ্দেশ্যে ৭ জুলাই থেকে এক দফা দাবি নির্ধারণ করা হয়: সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় (৫ শতাংশ) এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।’

আন্দোলন দমনে সামরিক গোয়ন্দাবিভাগের তৎপরতা সম্পর্কে আসিফ মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমরা বলছিলাম, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। পরে স্থিতাবস্থা দেওয়ার সময় আদালত থেকেও সেটাই বলা হয়েছিল। যদিও এর আগে আমাদের ঘায়েল করতে নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হচ্ছিল, সরকারের কিছুই করার নেই।’

“বাংলা ব্লকেড”-এ ঢাকা কার্যত অচল হয়ে পড়ায় ডিজিএফআই পরবর্তী কর্মসূচি ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমরা যাতে ক্যাম্পাসের বাইরে না যাই এবং সমঝোতার পথ যাতে খোলা থাকে, এ ধরনের একটা প্রস্তাব ও চাপ তারা তৈরি করেছিল। ৮ জুলাই “ব্লকেড” শুরুর আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে আমাদের ডাকা হয়। সেখানে নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার আর আমি গিয়েছিলাম। কর্নেল তারেক নামে ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা উপাচার্যের কক্ষে ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। এ ছাড়া ডিজিএফআইয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলে তখন দায়িত্বরত সম্রাট নামে একজন ছাড়াও আরও একজন কর্মকর্তা কর্নেল তারেকের সঙ্গে ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ সেখানে ছিলেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির তৎকালীন সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়ার মাধ্যমে ডিজিএফআই আমাদের আলোচনায় যুক্ত করেছিল। সেই আলোচনায় সাদী ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন। সে আলোচনায় আন্দোলনটা মাঠ থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। আমাদের নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, আদালতে গেলে কোটা পুনর্বহালের রায় তারা বাতিল করিয়ে দেবেন। তবে তাদের ব্যাপারে আমাদের সংশয় ছিল।’

বাংলা ব্লকেড
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। ছবি: জান্নাতুল ফেরদাউস/টাইমস

তিনি আরো বলেন, ‘৮ জুলাই বিকেল ৩টায় কর্মসূচি ছিল। ডিজিএফআই আমাদের ডেকেছিল দুপুর ২টায়, যাতে কর্মসূচিতে আমরা উপস্থিত না থাকতে পারি বা আমাদের অনুপস্থিতিতে কর্মসূচি সঠিকভাবে পালিত না হয়। সাধারণত আমাদের কর্মসূচিগুলোর কার্যক্রম শুরু হতো নির্ধারিত সময়ের দুই-তিন ঘণ্টা আগে। হলগুলোতে গিয়ে জনসংযোগ, লাইব্রেরিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আহ্বান, সবাই আসছে কি না তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা, কে কোথায় “ব্লকেড” করবে তা সমন্বয় করা-এ কাজগুলো কর্মসূচির আগেই করতে হয়।’

‘কর্মব্যস্ত এমন একটা সময়ে ডিজিএফআই আমাদের ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে কিছুক্ষণ আলোচনার পর আমরা বুঝতে পারলাম, সময়ক্ষেপণ করে তারা আমাদের আটকে রাখতে চাইছে। আমাদের জন্য তারা খাবারও নিয়ে আসে। কর্মসূচির সময় ঘনিয়ে এলে হান্নান মাসউদ ও রিফাত রশীদ ফোন করে আমাদের অবস্থান জানতে চায়। সময়ক্ষেপণের বিষয়টা বুঝতে পেরে আমি, নাহিদ ইসলাম ও আবু বাকের সেখান থেকে বেরিয়ে চলে আসি। সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে আরেকটু আলোচনা করে চলে আসতে বলা হয়। আমরা বের হয়ে এসে কর্মসূচি গোছাতে শুরু করি। পরে সারজিস-হাসনাতও চলে আসেন।’

‘সেদিন রাতে ডিজিএফআই আবারও আমাদের আলোচনায় ডাকে। সেখানে বাকের ছাড়া আমরা বাকি চারজন ছিলাম। আল সাদী ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন। একই জায়গায় তিন-চার ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। তারা আমাদের এই নিশ্চয়তা দিচ্ছিল যে আদালতে গেলেই কোটার রায়ে স্থগিতাদেশ হয়ে যাবে। যে বিচারকের আদালতে রিটটি ছিল, কর্নেল তারেক তাকে ফোন করে বলছিলেন, “ছেলেরা অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের আপিলের সঙ্গে যুক্ত হলে কি রায়টা স্টে হবে?” বিচারক তাকে বলেন, “হবে।” ওই কথোপকথন তিনি আমাদের লাউড স্পিকারে শোনান। আমাদের আস্থায় আনার জন্য এটা করা হয়।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কর্নেল বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে অমুক মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের অমুক নেতার সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। তিনি তার গুরুত্ব জাহির করার চেষ্টা করছিলেন। অবশ্য তিনি যখন আওয়ামী লীগ নেতাদের কল করেন, তখন তা লাউড স্পিকারে আমাদের শোনানো হয়নি। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকেও কল দেন। তিনি বলছিলেন, স্থগিতাদেশ যে হয়ে যাবে, এটা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কথা। আমাদের বক্তব্য ছিল, আমরা যদি যুক্তও হই, তবু আন্দোলন চলমান থাকবে। কোর্ট ও মাঠ-দুটোই চলবে। ছাত্রদের মূল শক্তি রাজপথ, রাজপথ ত্যাগ করা যাবে না।’

‘ছাত্রদের আদালতে নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মূলত ওবায়দুল কাদের। উদ্দেশ্য ছিল, ছাত্রদের আদালতে নিয়ে মাঠের আন্দোলনের যৌক্তিকতা শেষ করে দেওয়া। আমাদের কথা ছিল, আমরা আদালতে গেলেও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের আপিলের সঙ্গে যুক্ত হব না প্রয়োজনে আলাদা একটা রিট করা হবে। আমাদের দাবি অনুযায়ী কর্নেল তারেক নতুন রিটের ব্যবস্থা করলেন। আমরা বললাম, যারা আন্দোলনে সামনের সারিতে আছে, তাদের কেউ এই রিটে যুক্ত হবে না। কারণ, আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। নতুন রিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে কর্নেল তারেক বোঝালেন, কিন্তু সেই আয়োজনটি ছিল মিথ্যা। সবটাই ছিল পরিকল্পিত সাজানো’, যোগ করেন তিনি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *