বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলা সদর সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, সদর ইউনিয়নের চাকঢালা সংলগ্ন আন্তর্জাতিক পিলার নং ৪৪ থেকে ৪৯ নং পিলার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
কিছুদিন থেমে থাকার পর হঠাৎ করে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, তম্ব্রু, চাকঢালা ও দোছড়ি এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘ওপারের গোলাগুলিতে এপারে বাংলাদেশ জনপদে কিছুটা উৎকন্টা ছড়িয়ে পড়লেও ওই ঘটনায় এপারে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সীমান্তের ওপারে কী ঘটেছে বা কোনো হতাহত হয়েছে কি না জানা যায়নি।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘নাইক্ষংছড়িতে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির ৩৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ন কমান্ডারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি বিজিবি বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।’
বিজিবিকে উদ্ধৃত করে ইউএনও জানান, সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে বিজিবি জওয়ানদের। বাড়তি টহল আরোপ করা হয়েছে।
সীমান্তের খবরা খবর রাখে-এমন সুত্রগুলো জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার সরকারবিরোধী বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন প্রদেশের বিপুল অংশ নিজেদের দপখলে নিলেও সাম্প্রতিক সময়ে জান্তা সরকারের ইন্ধনে অন্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলো আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে চোরাগুপ্তা হামলা চালাচ্ছে। তবে এবারই তারা মুখোমুখি শক্তি পরীক্ষায় নেমেছে।