চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে রোববার দুপুরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রক্টরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ দিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা চবির ছাত্র-শিক্ষকের ওপর হামলা করে।
এর আগে, নগরীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়দের সাথে চবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় এক বাসায় প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে ওই বাসার ভাড়াটে নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা জানান, সংঘর্ষে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)- এর কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চবি শাখার সদস্য সচিব আল মাশনূনসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। গুরুতর আহত ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মো. কামাল উদ্দিন সংবাদিকদের জানান, স্থানীয়দের হামলায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের এই হামলার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করব।’