ঢাকার আদাবরে এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টার মামলায় ছয় জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম এহসানুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, মিজান মাতব্বর, রীনা বেগম, মো. রাব্বি, রবিউল ইসলাম, জুয়েল সরদার ও সবুজ মিয়া।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসামিদের আদালতে হাজির করে ছয় জনকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম। তবে আসামিদের মধ্যে রীনা বেগমের পক্ষে আইনজীবী তিন বছরের শিশু সন্তানকে দেখিয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন।
শুনানি শেষে বিচারক রীনা বেগমের জামিন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সকালেই তাদের আদাবর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা। এতে আল-আমিন নামের এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার পরে আদাবর থানা পুলিশ খবর পায় যে শ্যামলী হাউজিয়ের দ্বিতীয় প্রকল্পের শহীদুল ইসলামের বাড়ির ছাদে পলাশ নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে আটক রেখে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার ফোর্সসহ মামলার বাদী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আসামিরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে কাঁচ ভাঙে এবং পুলিশ সদস্যদের উপর মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে।
অতর্কিত আক্রমণ হয়েছে বুঝতে পেরে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষায় অস্ত্র বের করতে চাইলে আসামিরা সামুরাই ছুরি, দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের উপর হামলা করে। এতে আল আমিন নামে এক পুলিশ সদস্য মারাত্মকভাবে জখম হন৷ পরে পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহিম খলীল মঙ্গলবার আদাবর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।