খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ার পাহাড়ী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকালে কাউখালী উপজেলায় এ মানববন্ধন হয়।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)এর অঙ্গসংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, কাউখালী শাখা এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর নেতৃত্নে দেন। উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কাউখালি উপজেলা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি থুইনুমং মারমা এবং সঞ্চালনা করেন পিসিপির উপজেলা সভাপতি জিপল চাকমা।
বক্তব্য দেন, উপজেলা হিল উইমেন্স ফেডারেশন কমিটির সভাপতি রত্না চাকমা এবং পিসিপির রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দীপায়ন চাকমা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘পাহাড়ি নারী ধর্ষণের ঘটনায় বিচার হয় না। অপরাধীদের রক্ষায় রাষ্ট্রীয় একটি বিশেষ মহলের তৎপরতা থাকায় ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটছে।’

খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় কিশোরী শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও অপরাধীদের রক্ষায় একটি রাজনৈতিক দল মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে- বলেও অভিযোগ করেন তারা।
মানববন্ধন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্বায়ত্তশাসন প্রদানেরও দাবি তোলা হয়।
গত ২৭শে জুন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক পাহাড়ি কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। রাতেই ওই কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেন।
মামলা হওয়ার পরপরই অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরমান হোসেন (৩২), সদস্য ইমন হোসেন (২৫) ও এনায়েত হোসেন (৩৫) এবং শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (৩২)।
মামলার অন্য দুই আসামি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুনির ইসলাম (২৯) ও ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল ইসলাম (২৩) পলাতক বলে জানা গেছে।