যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, অস্টিন ও সিয়াটলসহ শতাধিক শহরে শনিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘নো কিংস’ স্লোগানে আয়োজিত এই আন্দোলনে অংশ নেয় লাখো মানুষ। তারা গণতন্ত্র, অভিবাসন অধিকার ও কর্তৃত্ববাদবিরোধী স্লোগান তুলে ধরেন।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, সিয়াটলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। আর আটলান্টায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষও ঘটে। লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ শেষ হওয়ার পর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। পোর্টল্যান্ডে ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে সংঘর্ষ হয়।
উটাহর সাল্ট লেক সিটিতে মিছিলে গুলিবর্ষণে একজন গুরুতর আহত হন। সেখানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী।
ভার্জিনিয়ার কালপেপারে এক ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে মিছিলে ঢুকে পড়লে একজন আহত হন। বেপরোয়া গাড়ি চালানো অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে আমেরিকার ছোট ছোট পতাকা বিতরণ করেন, আবার কেউ উল্টোভাবে পতাকা ওড়ান, যা জাতীয় সংকটের প্রতীক। কোথাও কোথাও ট্রাম্পের একটি সোনালি টয়লেটে বসা রাজা-রূপী পুতুলও মিছিলে দেখা যায়।
ফিলাডেলফিয়ার এক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘আমি এই দেশের নাগরিক হিসেবে আমেরিকান স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। তাই চাই, অন্যরাও যেন এখানকার অংশ হতে পারেন।’
‘নো কিংস’ আন্দোলনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘লাল হোক বা নীল, গ্রাম হোক বা শহর—আমেরিকাবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে বলেছে: আমরা কোনো রাজা চাই না।’