সাফ নারী অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের অঘোষিত ফাইনালে নেপালের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যদিও রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে এই টুর্নামেন্ট চলছে, তবে এই ম্যাচের ফলাফলেই পুরো টুর্নামেন্টের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা যদি এই ম্যাচে হার এড়াতে পারে, তাহলে সাফ নারী অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট তাদের মাথায় চলে আসবে।
ম্যাচের আগে দলের ইঞ্জুরি পরিস্থিতি নিয়ে অধিনায়ক আফঈদাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দলের সবাই সুস্থ আছেন।’
নেপাল ম্যাচের জন্য তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আফঈদা বলেন, ‘আগামীকালকের নেপাল ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে যেমন সবাই অধীর আগ্রহে বসে থাকে, তেমনই নেপালও আমাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। এই ম্যাচ নিয়েও একই ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা যেভাবে খেলে এসেছি, কালকেও চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার। আমরা দেশের মানুষের জন্য আনন্দ দিতে চাই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন শেষ হাসিটা আমরা হাসতে পারি।’
গতবার নেপালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে কিছু ভুল করে বাংলাদেশ অনেকটা পয়েন্ট হারিয়ে ফেলেছিল। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে তৃষ্ণারাণীর গোলের মাধ্যমে ম্যাচ জিতেছিল। আফঈদা জানান, ‘এবার নেপাল নিয়ে কোচ পিটার বাটলার নতুন পরিকল্পনা করছেন। গত ম্যাচে আমরা যে সকল ভুল করেছিলাম, সেগুলি কাটিয়ে কিভাবে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে পারি, তা নিয়ে তিনি পরিকল্পনা করছেন। কোচ আগামীকাল আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং মাঠে কিভাবে সেগুলো কার্যকর করা যায়, তাও বলে দেবেন। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, কোচ আমাদের মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন এবং সেগুলি কিভাবে পরিকল্পনায় রাখা যায়, তাও আলোচনা করেন।’
এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ৫টি জয় নিয়ে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, নেপাল একমাত্র বাংলাদেশ ম্যাচটি হারিয়ে বাকি ৪টি ম্যাচ জিতেছে। শেষ ম্যাচে যদি বাংলাদেশ জয় পেয়ে যায় বা ড্র করে ফেলে, তাহলে আর কোন সমীকরণ কাজে আসবে না নেপালের জন্য। তবে, যদি বাংলাদেশ হারে, তাহলে গোল ব্যবধানে সমীকরণের মারপ্যাঁচ দেখা যাবে। যদি নেপাল জিততে পারে, তাহলে দুই দলের দুই ম্যাচের গোল ব্যবধানে যে এগিয়ে থাকবে, সে শিরোপা নিয়ে মাঠ ছাড়বে।
গত ম্যাচে কাদাপানি ভরা মাঠ বাংলাদেশের শৈল্পিক ফুটবল খেলার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাটলারের হাই লাইন ফুটবল সিস্টেমও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। এবার, বাটলার চাইবেন আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে এবং আধিপত্য ধরে রেখে টুর্নামেন্ট শেষ করতে।