দেশে কখনো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি: মির্জা ফখরুল

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দ্য বাংলাদেশ ডায়লগ এবং ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনাল ২০২৫’শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: টাইমস

বাংলাদেশে কখনো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, দেশে কখনো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রচর্চা হয়নি।’

মঙ্গলবার বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে যৌথভাবে দ্য বাংলাদেশ ডায়লগ এবং ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনাল ২০২৫’শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

‘দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ’ একটি যুব-নেতৃত্বাধীন বেসামরিক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা আইনজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মীদের নিয়ে গঠিত।

তিনি বলেন, ‘সম্ভবত লিগ্যাসি অব পাকিস্তানি পলিটিকসের কারণে এটি হয়নি। খুব স্বল্প সময় ধরে কিছুটা চর্চা হয়েছিল। তারপর আবার সেই চর্চা থেকে আমরা দূরে সরে গিয়েছি। তবে বর্তমান তরুণ সমাজ এখন আমাদের চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।‘

প্রধানমন্ত্রী-স্পিকারের আগে ‘মাননীয়’ বলা থেকেই স্বৈরতন্ত্রের জন্ম হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে হওয়া ডিবেট প্রদর্শনী নিয়ে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ডিবেটের একটি বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। প্রধানমন্ত্রী আর স্পিকার বলার আগে মাননীয় শব্দটা বলা কি আমরা বাদ দিতে পারি না? আমার মনে হয়, এ মাননীয় কথাটা থেকেই স্বৈরতন্ত্রের জন্ম হয়।’

তরুণ সমাজের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন কিছু হবে না। ছেলেরা এখন আমাদের চেয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠেছি, অবশ্যই অনেক কিছু হবে। বাংলাদেশে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াব। তর্কবিতর্ক থাকবে, মতের অমিল থাকবে। আমি একজনের সঙ্গে একমত হবো না, কিন্তু তার মতের জন্য আমার জীবন দিয়ে দেব।’

আমরা এটাতেই বিশ্বাস করি। আমরা এ লিবারেল ডেমোক্রেসিতেই বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি, আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে, তোমারও কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে উপযুক্ত গণতন্ত্র, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শেষে বিতার্কিকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *