সবাই বলত দেয়ালের কান আছে, কিন্তু আমরা দেখেছি—দেয়াল শুধু শোনেনি, নিজেই কথা বলেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার বিকালে বিজয় সরণিতে ‘জুলাই আর্টওয়ার্ক’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যখন আমরা আন্দোলনে ছিলাম, তখন আমরা চলে গেলেও দেয়াল ছিল, কথা বলেছে। আমাদের বক্তব্যগুলো দেয়ালে লেখা ছিল, শহরের মানুষ পড়েছে—এটাই ছিল এক ধরনের নীরব প্রচার।’
পিলারগুলোর সামনে দিয়ে যখন কেউ গাড়িতে যাবে, তখন পুরো সময়টা যেন স্মৃতির মতো সামনে ভেসে ওঠে। মানুষ যেন ভুলে না যায়, জনগণ যেন বিচার নিশ্চিত করার তাগিদ অনুভব করে—এটাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। ভবিষ্যতে যেন ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে দেয়ালগুলো হয়ে দাঁড়ায় এক বড় প্রতিবন্ধকতা, যোগ করেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহায়তায় কারওয়ান বাজার এলাকায় ১৬টি পিলারে ‘ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরের জুলুম’ এবং বিজয় সরণি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৩৬টি পিলারে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ স্মরণে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এক বছরে অনেক দেয়ালের রং ফিকে হয়ে গেছে, কিন্তু চেতনায় তা ফিকে হয়নি। তিনি জানান, এখন ছাত্রদলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও মেট্রোরেল ও বায়োভার পিলারে গ্রাফিটি করছে। তবে ব্যক্তিগত প্রচার কিংবা নির্বাচনী প্রচারণার নামে শহরের দেয়ালে পোস্টার লাগানো দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, ‘শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় নির্দিষ্ট স্থানে পোস্টার লাগাতে উৎসাহিত করতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি ফ্রি বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। এরপরও যদি কেউ নির্ধারিত জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও পোস্টার লাগায়, তাহলে তাদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং প্রচলিত রেট অনুযায়ী আর্থিক জরিমানা আদায় করা হবে।’
শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যপূর্ণ রাখার আহ্বান জানান তিনি।