দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে ‘ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস’। মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং সেনা টহল পরিচালনা করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে ফুলবাড়ী উপজেলা শাখা তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী সমিতি, রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথকভাবে শোক র্যালি বের করে। পরে ছোট যমুনা নদীর পূর্ব প্রান্তে নির্মিত আসাত শহীদ বেদীতে শহীদ আমিন, সালেকিন ও তরিকুলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘১৯ বছর পার হলেও মূল দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
২০০৬ সালের ছয় দফা চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, এশিয়া এনার্জির কার্যক্রম বন্ধ এবং আন্দোলনকারীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ীতে কয়লাখনি প্রকল্পবিরোধী আন্দোলনে তিনজন নিহত হন। এ সময় আহত হন বহু মানুষ। পরবর্তীতে আন্দোলনের চাপে সরকার ৩০ আগস্ট ‘ফুলবাড়ী চুক্তি’ স্বাক্ষর করা হয়। তবে, আজও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।