নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুদিনে উপজেলার খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই, বাইশপুকুর ও পূর্বখড়িবাড়ী এলাকায় শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ইউএনবি জানিয়েছে, রোববার ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে ডিমলার পাঁচটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ সময় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পরে ১৫ আগস্ট থেকে পানি নামতে শুরু করলে নদীভাঙন শুরু হয়।
ভাঙনের শিকার জয়নাল, কোরবান আলী, মজিবর রহমান, আবুল কাসেম, রায়হান, দুদু মন্ডল, আব্দুল কাদের ও সিরাজুলসহ অনেকেই জানান, গত দুদিনে তাদের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে তারা এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গ্রোয়েন, স্পার বাঁধ ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি সহায়তা পাওয়া মাত্র তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, নদীভাঙন ঠেকাতে জরুরিভিত্তিতে কাজ চলছে। কোথাও নতুন ভাঙন দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।