ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিটকারী ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যবিশিষ্ট এবং ডাকসু নির্বাচন কমিশন দুই সদস্যবিশিষ্ট পৃথক কমিটি গঠন করেছে।
ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকির ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি করার কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জের পর ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলী হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়ে একটি পোস্ট করেন।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ এবং ‘অপরাজেয় ৭১ অদম্য ২৪’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নাইম হাসান লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঢাবি প্রক্টর কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গণধর্ষণের হুমকির ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ ও ‘অপরাজেয় ৭১ অদম্য ২৪’-এর ভিপি প্রার্থী নাইম হাসানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ কমিটি গঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার এবং সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূইয়া ও মো. রেজাউল করিম সোহাগ।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন একই ঘটনায় দুটি সদস্যবিশিষ্ট তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক কাজী মোস্তাক গাউসুল হক আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর জাহাঙ্গীর আলম এ কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।