টাঙ্গাইলে আমেরিকান ‘সায়োট’ চাষে কৃষকের সফলতা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ল্যাটিন আমেরিকান সবজি জাতীয় ফল সায়োট হাতে কৃষক। ছবি: টাইমস

টাঙ্গাইলে ল্যাটিন আমেরিকার সবজি জাতীয় ফল সায়োট চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা হাফিজুর রহমান। তার বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার খুপিবাড়ী গ্রামে।

হাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন একটি বিদেশী জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে পৃথিবীর নানা দেশের বন্দরে এবং পর্যটন এলাকায় তিনি সায়োট দিয়ে নানারকম সুস্বাদু রান্না খেয়েছেন। তখন থেকেই দেশে ফিরে এই ফলটির চাষ করার ইচ্ছে ছিল। গত বছর ভারতের দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে সেখানকার এক পর্যটন এলাকায় সায়োটের চাষ দেখে তিনি বীজ সংগ্রহ করেন এবং বাড়িতে রোপণ করেন। তিন মাসের মধ্যে গাছ থেকে ফল আসতে শুরু করে, এবং দেড় মাস ধরে তিনি ফল সংগ্রহ করছেন। বর্তমানে তিনি নিজেই সায়োট খাচ্ছেন এবং পড়শিদেরও দিচ্ছেন। কিছু ফল তিনি বিক্রিও করছেন। আগামী বছর তিনি বানিজ্যিকভাবে সায়োটের আবাদ করার পরিকল্পনা করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সায়োট ল্যাটিন আমেরিকার একটি উন্নতমানের সবজি জাতীয় ফল। এটি চও চও নামেও পরিচিত এবং বৈজ্ঞানিক নাম সিচিয়াম ই্যডুল। মেক্সিকোই এই ফলের আদিনিবাস, তবে ব্রাজিল, কোষ্টারিকা, গুয়েতমালা এবং হন্ডুরাসেও এর চাষ হয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ক্যান্সার, হৃদরোগ, লিভার এবং ডায়াবেটিসের জন্য উপকারি। সায়োট কাঁচা ও পাকা দুইভাবে খাওয়া যায় এবং তরকারি, চাটনি কিংবা ক্রিম তৈরি করেও খাওয়া সম্ভব। ফলের সব অংশই ব্যবহারযোগ্য, শেকড়, বীজ, কাণ্ড থেকে পাতা সবই উপকারী।

ঘাটাইল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই উন্নত মানের পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজিটি কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে হাফিজুর রহমান পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করেছেন। পোকামাকড় বা রোগবালাইয়ের তেমন উপদ্রব না থাকায় প্রাথমিকভাবে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তাই বানিজ্যিকভাবে সায়োটের আবাদ লাভজনক হতে পারে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *