জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পিআর পদ্ধতি চালুসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দলটির শীর্ষ নেতারা বুধবার বিকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানান। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনূছ আহমাদ।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন দলটির ও সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক এবং মুখপত্র গাজী আতাউর রহমান।
আশরাফ আলী আকন তাদের সাত দফা দাবি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দাবিগুলো হলো, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ ও দল নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের স্পষ্ট বার্তা, প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা সদস্য মোতায়েন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন, পিআর পদ্ধতি চালু, গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির নিবন্ধন বাতিল এবং চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নেওয়া।
দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা আশা করেছিলাম রাষ্ট্রের কাঠামো সংস্কারের একটি সনদ হবে। সে সনদের আইনি ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। এটিই আমাদের প্রধান দাবি। কিন্ত আমরা সেটি লক্ষ্য করছি না।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু তার আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ দাবি আদায়ে আমরা ফের মানুষের কাছে গিয়ে জনমত তৈরি করব।’
নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে না পারলে বর্তমান ইসির পরিণতি আওয়ামী লীগের আমলের ইসির মতো হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।