লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণা দেওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক ‘বয়কট’ করেছে জামায়াত ইসলামী।
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন দ্বিতীয় দফার বৈঠকে যোগ দেননি তারা।
এদিন সকালে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের মুলতবি বৈঠক শুরু হয়। একটু দেরিতে বৈঠক শুরু হলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের আসনের পাশের আসনটি জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের জন্য রাখা হয়। তবে তা খালি দেখা যায়।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানান, তারা ‘অন প্রোটেস্ট’ বৈঠকে যাননি।
বুধবার বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখনই বলতে পারছি না। আমরা আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
এর আগে ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পরে বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়। এ বৈঠক ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায়’ হয়নি বলে জামায়াত মনে করে বলে দলটির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান।
তিনি বলেন, ’এজন্য আমরা আজকের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যাইনি। কারণ, এই কমিশনের প্রধান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত অক্টোবরে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ে ফেব্রুয়ারি মাসে। ১৫ ফেব্রুয়ারি এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
তারা সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত জানতে চায়-যাদের মধ্যে ৩৩টি মতামত জানায়।
আলোচনার সুবিধার্থে কয়েকটি দলের সঙ্গে একাধিক দিনও বৈঠক চলে। আলোচনার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য ও আংশিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে কমিশনের পক্ষে থেকে জানানো হয়।